আজ খবর ডেস্ক- সম্প্রতি ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা, পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি সমাজ মাধ্যমে একটি বক্তব্য রাখেন। যা ঘিরে উত্তাল নেট দুনিয়া। বাংলাদেশের পুজো মণ্ডপে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে ঘিরে তাঁর এই বক্তব্যের পরেই তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। আব্বাসের ভাষণে বিঘ্নিত হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি , এমনটাই মনে করছে ‘বাংলা পক্ষ’।

ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আব্বাস সিদ্দিকির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছে এই সংস্থা।

দুর্গাপুজোর আবহে কুমিল্লা থেকে ঘটনার সূত্রপাত। এই বিষয় নিয়ে আপাতত দুই দেশ তোলপাড় হয়েছে। ‘বাংলা পক্ষ’র সদস্য বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস ফোনে www.aajkhobor.com কে জানালেন, ‘বাংলাদেশে পুজোমণ্ডপে কে বা কারা কোরান রেখেছিলেন তা স্পষ্ট না হলেও এটি একটি দুষ্টচক্রের কাজ বলেই ধরে নেওয়া যায়।
বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করার কথা বলেছে। যদিও সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু আব্বাস সিদ্দিকির সামাজিক মাধ্যমে এই বার্তার তীব্র সমালোচনা করছি।’ সংস্থার তরফে আব্বাস সিদ্দিকির শাস্তির দাবি ও করেন এই বিশিষ্ট চিকিৎসক।

মুখ্যমন্ত্রী কে লেখা চিঠিতে ‘বাংলা পক্ষ’র বক্তব্য, বাংলাদেশে বসবাসকারী মানুষ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁদের পরিচয় সে দেশের নাগরিক, শুধু হিন্দু নয়। তাঁদের রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।

এই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতবর্ষে এমনই এক জায়গা যেখানে সাম্প্রদায়িকতা জায়গা পেতে পারে না। কারণ সংবিধানগত ভাবেই ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকেন। পাশের দেশের অশান্তি যখন এই দেশেও সমস্যা তৈরি করছে তখন সকলের সচেতন থাকা দরকার।
ভারতবর্ষের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ডাঃ অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, ‘এখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ স্থান পাক। কোনও ধর্মের উপর অত্যাচার মেনে নেওয়া হবে না।’

বাংলাপক্ষ চায়, সরকারের তরফে তাদের এই আবেদন মঞ্জুর হোক। না হলে পরে বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে পারে এই সংগঠন। কোনও ধর্মের তরফে উস্কানি মেনে নেবে না বাংলা পক্ষ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *