ভোলা ময়রার নাম কে না জানে? হুগলির গুপ্তি পাড়া তাঁর জন্মস্থান। একদিকে মিষ্টি কারিগর। আর অন্যদিকে কবিয়াল। কবিগানের লড়াই এ একের পর এক পর্যুদস্ত করে দিতেন প্রতিপক্ষকে। উত্তম কুমার অভিনীত বিখ্যাত ছবি এন্টনি ফিরিঙ্গি তে রয়েছে এই ভোলা ময়রার চরিত্র-চিত্রন। রসগোল্লার আবিষ্কর্তা নবীন চন্দ্র দাসের দাদা শ্বশুর ভোলা ময়রা। তাঁরই হাতে তৈরি , গুপো সন্দেশ।
দুটো সন্দেশের মাঝখানে গুড় অথবা চিনির প্রলেপ। শীতকালে অতি অবশ্যই মাঝে থাকতে হবে নলেন গুড়। আর দুটো সন্দেশ কে আদরে, সোহাগে জড়িয়ে রাখবে দুধে জাল দিয়ে তৈরি সর।
পুরনো বাসিন্দারা বলেন, গুপ্তি পাড়ার নামেই এই সন্দেশের নামকরণ।
এখন মাত্র দু, তিনটি দোকানেই পাওয়া যায় এই গুপো সন্দেশ । দোকানিরা বলছেন, একটু কড়া মিষ্টি এই সন্দেশ । তাই আজকালকার স্বাস্হ্য সচেতন মানুষ খুব একটা খেতে চান না গুপো সন্দেশ। তৈরি করে বিক্রি হয় না। পড়ে থাকে। ব্যবসায়ে ক্ষতি কেই বা চায়?
আজ কতজন ই বা জানেন বাংলার এই প্রথম ব্র্যান্ডেড মিষ্টির কথা?
রসগোল্লার পেটেন্ট নিয়ে বাংলা, ওড়িশার লড়াই সর্বজনবিদিত। কৃষ্ণনগরের সর ভাজা, বর্ধমানের ল্যাংচা, মিহিদানা । জনপ্রিয়তায় এ সবের কাছাকাছি আসা তো দূরের কথা, ক্রমশ হারিয়েই যাচ্ছে ভোলা ময়রার গুপো সন্দেশ।