আজ খবর ডেস্ক- গতবারের পুজো যেমন তেমন কেটেছে, এবার হয়তো আংশিক আশার আলো দেখেছিল প্রায় দেড় বছর ঘরে বসে থাকা বাঙালি। অন্তত পুজোয় নিয়ন্ত্রণ বিধিতে কিছুটা শিথিলতা আসবে। রাত জেগে প্যান্ডেল দর্শন করা যাবে। কিন্তু সেই আশায় কার্যত জল ঢালল হাইকোর্টের নির্দেশ।

গত বছরের মতো এ বছরও সমস্ত প্যান্ডেল হবে দর্শকশূন্য। তাই বাঙালির মধ্যে স্বভাবতই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে পুজোয় বিধিনিষেধের মধ্যে কলকাতায় না থেকে কাছেপিঠে কয়েকটা দিন কোথাও বেরিয়ে আসার।

এই পুজোয় কলকাতা ছেড়ে বাইরে গেলে বহুদিন পর হাওয়া বদল করার যেমন সহজ সরল উপায়, ঠিক তেমনই পর্যটন বিভাগগুলি ধীরে ধীরে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন বলেই মনে করছেন একাংশ। এখনই দূরে বেড়াতে যাওয়া সম্ভব না হলেও হাতের কাছে দীঘা, দার্জিলিং, পুরুলিয়া কিংবা বাঁকুড়ার মত জায়গাগুলি রীতিমতো আকর্ষণ করছে বাঙালিকে।

করোনা অতিমারির কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধই পড়ে আছে পর্যটন বিভাগ এবং কেন্দ্রগুলি। পর্যটন কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যেহেতু এবছর করোনা নিম্নমুখী এবং অধিকাংশ পর্যটকই করোনার দুটি টিকা ইতিমধ্যেই নিয়ে নিয়েছেন, তাই পুরনো ছন্দে ফিরতে হয়তো অতটা অসুবিধা ভোগ করতে হবে না।

স্বাভাবিকভাবেই বেড়াতে যাওয়ার ছুতোয় বা উল্লাসে সতর্কতা ও সচেতনতা বিধি ভুললে চলবে না। সামান্য অসচেতনতার জন্য যখন-তখন তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ভারতের বুকে। তাই সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে এবং মান্যতা দিয়েই চলতে হবে এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসক মহল।

অনেকে আবার নিজেরাই গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে আসতে চাইছেন কাছের কোন জেলার জানা অজানা কোনও স্পটে। অন্যদিকে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বিভিন্ন ট্যুর এজেন্টরা। যদি পরিবার নিয়ে ঘুরতে যান তবে অবশ্যই কবে কোথায় যাবেন এবং কিভাবে দেখবেন তার জন্য ট্যুর এজেন্টদের শরণাপন্ন হতে যা স্বভাবতই নতুন করে থেমে থাকা পর্যটন ব্যবসার পালে হাওয়া দেবে, তাই একটু হলেও লক্ষী লাভের আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মানুষরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *