আজ খবর ডেস্ক- সারা ভারতের এখন চোখ শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের দিকে। গতকালই মাদকাসক্ত অবস্থায় গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ধীরে ধীরে জেরার মুখে পড়ে স্বীকার করেছেন অনেক কথা। কতটা বিলাসবহুল জীবন কাটাতে তিনি তা আগেই সকলের জানা কিন্তু মাদক নেওয়ার পেছনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে বলিউড তথা ‘ফ্যান’ মহল। নিজে ক্যামেরার সামনে না এলেও বেশ উগ্র জীবনযাপন করতেন আরিয়ান। বর্তমানে আমেরিকাতে পড়াশোনাও করছিল সে।

একদিকে তাঁর যেরকম বিলাসবহুল জীবন কাটানো এবং মাত্র ২৩ বছর বয়সেই হাজতে যেতে হলো। অন্যদিকে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক অন্যান্য বলিউড তারকা এবং তাদের সন্তানরা এখন কোথায় এবং কি অবস্থায়।

১. সারা আলি খান- সইফ আলী খানের কন্যা সারা আলি খানের বয়স ২৬। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ছবিতে দেখতে পাওয়া গিয়েছে তাঁকে। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে পরপর পাঁচটি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর ঝুলিতেও রয়েছে বেশ কিছু সুপারহিট সিনেমা। যেমন কেদারনাথ, লভ আজকাল- এর মত সুপারহিট সিনেমা। সুশান্ত সিং রাজপুত- এর মৃত্যুর পর তাঁকে পড়তে হয় এনসিবি – র জেরার মুখে। মাদক সম্পর্কিত একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

২. ইব্রাহিম আলি খান: সইফ আলী খানের সন্তান ইব্রাহিম আলি ইতিমধ্যে রুপোলি পর্দায় নিজের মুখ দেখেছেন। রকি ও রানি কি প্রেমকাহানি নামক এক ছায়াছবিতে করণ জোহরকে অ্যাসিস্ট করতেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে। ২০ বছর বয়সী এই অভিনেতা পুত্রকে এখনো পর্যন্ত মাদকজাতীয় কোন রকম বিচিত্র ঘটনার সঙ্গে জড়িত হতে দেখা যায়নি।

৩. টাইগার শ্রফ – জ্যাকি শ্রফের পুত্র টাইগার শ্রফ। 30 বছর বয়সী এই অভিনেতা পুত্রটি যথেষ্ঠ নাম করেছেন মুম্বাই জগতে। এখনও পর্যন্ত ১০ টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। যদিও মাদক সম্পর্কিত কোনও মামলায় বা সমস্যায় তাঁকে কখনও দেখা যায়নি।

৪. করণ দেওল: সানি দেওলের পুত্র করণ দেওল ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পাল পাল দিল কে পাস ছবিতে প্রথম অভিনয় তাঁর।

৫. আরীন নেনে: ভারত মাধুরী দীক্ষিতের দুই সন্তান তাদের মধ্যে বড় হলেন আরীন। এখনও ২০র গণ্ডি না পেরোলেও যথেষ্ঠ সোজা পথেই বড় হচ্ছে সে।

লুকিয়ে অনেকেই মাদকের নেশা করলেও এখনও পর্যন্ত সেভাবে কারুর নাম সামনে আসেনি। তবে এই মুহূর্তে আরিয়ান খান কে একদিনের জন্য হেফাজতে রাখবে বলেও পরে আটকদের কোর্টে তোলা হলে, ৭ তারিখ পর্যন্ত এনসিবির হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। ইতিমধ্যেই তাঁর মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। আরিয়ান খান- এর ফোনে যথাযথ প্রমাণ পাওয়ার কারণে তাঁকে আরও দীর্ঘ সময় নিজেদের হেফাজতে রাখতে চেয়েছিল এনসিবি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *