আজ খবর ডেস্ক- তখনও সাতাশ রান দরকার, তুমুল উত্তেজনা, ফাঁকা দর্শকাশন যেন সেই উৎকণ্ঠা প্রশমিত করছে। নয় উইকেট পড়ে গেছে, শেষ একটু আশা তখনও জেগে মরগানের ছেলেদের। না, শেষ রক্ষা হলো না! দুবাইয়ের মাটিতে ঘামের দাগের জয় জয়কার ঘটলো হলুদ বাহিনীর।
বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং বোর্ডের সেক্রেটারি জয় শাহ ঝা চকচকে আইপিএল ট্রফি তুলে দিলেন ধোনির হাতে। নিরব হাততালি পড়ছে বেগুনী যোদ্ধাদের তরফে। একা স্বীকৃতি নিতে চাননি ক্যাপ্টেন কুল, ট্রফি হাতে হাতে পৌঁছয় দলের কাছে। আনন্দ ও উদ্বেগ অন্য মাত্রায় পৌঁছে গেছে। এই নিয়ে চতুর্থ বার ঘরে তুললেন কাপ।
এই নিয়ে অনেকবার জল্পনাও হয়েছিল, তাহলে কি ধোনি এবার শেষবারের মতো খেলছেন? তবে এই বিষয়ে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ মন্তব্য করেছিলেন চেন্নাইয়ের মাটিতে তাঁকে বিদায় জানানোর সুযোগ দেবেন তিনি।
যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে মুম্বাইদের বিরুদ্ধেই এতদূর এসেছে তারা। ফাফ দু প্লেসিস এবং ঋতুরাজ গাইকোয়ার দু’জনের অসামান্য ভূমিকা এক অন্য পর্যায় নিয়ে যায় এই বিজয়। ২০ ওভারে ১৯২ করে তিন উইকেট হারিয়ে। মরগান গত ম্যাচ গুলি তে টস জিতে ছিল তাই এবারও তার স্নিগ্ধ হাসি কাজ করেছিল টস জিতে। ভাগ্য সায় দেয়নি।
চাপে পড়তে দেখা গিয়েছে ধনিকেও। শুভ ম্যান গিল এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ার খেলার প্রথমে মাঠে নামার সময়। অনেকেই বলছেন শাহরুখ শেষ হাসি হাসতে পারলেন না, এমনিতেই তাঁর এখন আরিয়ানের জন্যে কঠিন সময় যাচ্ছে। তবে এই ক্ষেত্রে হয়ত একটু হলেও খুশি হতেন তিনি। তবে সেইটা আর হওয়া গেল না।
ধোনি বলেন, “আমরা বেশি মিটিং করি না, প্রাক্টিস সেশন গুলোই আমাদের আসল মিটিং। বেশি মিটিং করলে চাপ বেড়ে যায়।”
নাইটের ক্যাপ্টেনের মুখে উঠে এলো রাহুল ত্রিপাঠির কথা, তিনি বলেন, “আয়ার এবং গিল অসাধারণ খেলেছে গত কয়েকটা ম্যাচে। বেঙ্কটেশ এই মঞ্চে নতুন। কিন্তু কোনওদিন সেটা বুঝতে দেয়নি। ওরাই ছিল আমাদের ব্যাটিংয়ের মূলস্তম্ভ। ত্রিপাঠি আজ নিজের সেরাটা দিতেই নেমেছিল। ওর চোট পাওয়াটা নেহাতই দুর্ভাগ্যজনক।”
অন্যদিকে কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালাম বললেন, “দলের প্রত্যেককে নিয়ে আমি গর্বিত। এ মরসুমের যাত্রাটাই অসাধারণ। কিছু কিছু জিনিস সারাজীবন আমাদের মনে থেকে যাবে। শেষ ধাপে এসে ব্যর্থ হলে অনেক প্রশ্নই উঠে আসে। কিন্তু সে সব আপাতত মাথায় রাখতে চাই না। তরুণ ক্রিকেটাররা যে ভাবে দলকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে, তা প্রশংসনীয়।”