আজ খবর ডেস্ক- পশ্চিমবঙ্গের ৬ জেলায় সেঞ্চুরি হাঁকালো ডিজেলের দাম। চলতি বছরের জুলাই মাসেই সেঞ্চুরি পার করেছিল পেট্রল। আর তার ঠিক তিন মাসের মধ্যেই একশোর গণ্ডি পার করল ডিজেলও।
কলকাতায় এই মুহূর্তে পেট্রোলের দাম ১০৭ টাকা ৭৮ পয়সা। আর ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৯৯ টাকা ৮ পয়সা। তবে কোন কোন জেলায় ১০০ পেরোলো ডিজেলের দাম?
কোথায় কত দাম বাড়লো?
তেল সংস্থাগুলির তরফে খবর, শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের বারবিশায় ভারত পেট্রলিয়াম পাম্পে ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে লিটার প্রতি ১০০ টাকা ১৭ পয়সা। আর ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে ১০০ টাকা ৫ পয়সা। পেট্রোলের দাম ১০৮ টাকা ৮৬ পয়সা।
একই দিনে পুরুলিয়ায় ডিজেলের দাম প্রতি লিটার পিছু বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা ১৪ পয়সা।
কোচবিহারে ডিজেল বিক্রি হচ্ছে
লিটার প্রতি ১০০ টাকা ৮ পয়সায়। পেট্রোলের দাম লিটার প্রতি ১০৮ টাকা ৮৬ পয়সা।
দার্জিলিং – এ প্রতি লিটার ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা ২৯ পয়সা। অগ্নিমূল্য পেট্রোলও, লিটার প্রতি দাম ১০৯ টাকা ৩০ পয়সা।
পুরুলিয়ার ঝালদায় লিটার প্রতি ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা ১৪ পয়সা।
নদীয়ার কৃষ্ণনগরে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা ১৬ পয়সা।
সাধারণ মানুষ মনে করছেন, শুধু বারবিশা বা ঝালদা নয়, কিছুদিন পর রাজ্যের বাকি জেলাতেও ডিজেল দাম সেঞ্চুরি করবে। অবশ্য আলিপুরদুয়ারের কয়েকজনের মতে, বারবিশা অসমের সীমানা ঘেঁষা অবস্থান করায় ওই এলাকায় তেল পরিবহণের খরচ অনেকটা বেশি। সেই কারণেই সেখানে ১০০ টাকা পার করেছে ডিজেলের দাম। অন্যদিকে, পুরুলিয়া জেলা বাসমালিক সংগঠনের সম্পাদক প্রতিভারঞ্জন সেনগুপ্ত জানান, ‘চলতি মাসেই ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৪ টাকার বেড়েছে। আরও বাড়বে হয়ত। এই দাম বৃদ্ধির শেষ কোথায়, কেউ জানে না।’
তারমধ্যে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তর্জা। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘পেট্রল-ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তীব্র আপত্তিতেই জ্বালানি তেলের দাম জিএসটি-র আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।’ সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘যিনি এ কথা বলেছেন, তিনি আসলে কিছুই জানেন না। হয় কেন্দ্র এই দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, না হয় ওরা ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ মানুষের উপরে মূল্যবৃদ্ধির বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।’
তবে লাগাতার এই ভাবে পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়তে থাকলে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের ওপর তার প্রভাব পড়বে। এখনই অনাজ থেকে শুরু করে মাছ, মাংসের দাম এত বেড়ে গেছে যে হাত লাগাতে পারছে না সাধারণ মানুষ। এরপরও যে হারে জ্বালানির দাম বাড়ছে তাতে আগামী দিনে জিনিসপত্রের দাম আরো বাড়ার আশঙ্কায় চিন্তার ভাঁজ পড়ছে সাধারণ মানুষের কপালে।