আজ খবর ডেস্ক- অমিত মিত্র- র একটি টুইট ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হল। ১লা অক্টোবর তিনি একটি ট্যুইট করে লেখেন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের কবে সোনা অনুযায়ী সারাদেশে মাথাপিছু আয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সারা দেশে সর্বপ্রথম। এখানেই শেষ নয় পাশাপাশি তিনি তার ট্যুইটে লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ +৭.১৬ শতাংশ অন্যদিকে সারা দেশে গড় -৩.৯৯ শতাংশ। এসব কিছুর পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্বকেই সর্বান্তকরণে সমর্থন করেছেন ড: অমিত মিত্র। পাশাপাশি তাঁর লেখায় তিনি উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদির দেশের প্রতি কর্তব্যের খামতি স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে মাথা পিছু আয়ের বিজ্ঞপ্তির পর।

এখানেই শেষ নয় পাশাপাশি তিনি তার ট্যুইটে লেখেন, পশ্চিমবঙ্গ +৭.১৬ শতাংশ অন্যদিকে সারা দেশে গড় -৩.৯৯ শতাংশ। এসব কিছুর পিছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্বকেই সর্বান্তকরণে সমর্থন করেছেন ড: অমিত মিত্র। পাশাপাশি তাঁর লেখায় তিনি উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদির দেশের প্রতি কর্তব্যের খামতি স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে মাথা পিছু আয়ের বিজ্ঞপ্তির পর।

অমিত মিত্রের ট্যুইট করা লেখা

এই বিষয়ে সুর চড়ালেন অর্থনীতিবিদ তথা বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী এই সাফল্যের বিষয়ে অভিনন্দন জানিয়ে ছুঁড়ে দিয়েছেন বেশ কিছু প্রশ্ন। ‘কন্সট্যান্ট প্রাইসে’র ভিত্তিতে যদি এই অগ্রসরকে দেখা যায় তাহলে তা হবে ০.৬৭ শতাংশ। সেই ক্ষেত্রে তিনি বুঝিয়ে দিতে ছেয়েন কি আদতে তেমন কিছুই এগোয়নি এই সফলতা। প্রশ্ন উঠছে সেই নিয়ে। পাশাপাশি তিনি এও বলেন সারা দেশের নিরিখে এই তাৎপর্য না ধরে নিয়ে অগ্রসর হওয়া রাজ্যের সঙ্গে তুলনা টানা উচিৎ ছিল নয় কি? কিছু রাজ্যের নাম উল্লেখ করেন তিনি, যেমন তাদের মধ্যে রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা। এদের ন্যায় পশ্চিমবঙ্গ ভাল করেছে, কিন্তু তাতে আশ্চর্য হয়ার কোনও কারণই নেই বলে করছেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৯৫৭-৫৮ সালে খরা, বা যুদ্ধ ১৯৬২ তে এছাড়াও দুর্যোগ। সে ন্যায় দেখতে গেলে গত সাত দশকে মাথা পিছু আয় কমেছে, এই তথ্যও উল্লেখ করেন তিনি এদিন। এই বছরগুলিকে ব্যাতিক্রমি বলে ধরে নেওয়া হয় টাই করোনা চলাকালীন এই বছরকেও ব্যাতিক্রমি বলে ধরে নেওয়া হবে। কারণ কোথাও তেমন ভাবে কাজ কর্ম হয়নি, শ্রমিক ফিরে গেছেন ইত্যাদি বিশকেও গুরুত্ম দেন তিনি এদিন।

যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে পড়েছে তা অব্যাহত রয়েছে। কোথায় কোথায় তিনি ১৯৮০ সালের কথাও যোগ করেন এদিন। পশ্চিমবঙ্গ ছিল প্রথম ১০-এ এবং ২০১১-১২ সালে মাথা পিছু আয়ের নিরিখে সেটি নেমে এসেছিল ১৮ থেকে ২১ নম্বরে। রাজস্থানের মাথা পিছু আয় পশ্চিমবঙ্গের থেকে বেশি।  ২০১৯-২০ সালে তৃণমূল আমলে ২১ নম্বর থেকে ২০ নম্বরে এগিয়ে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ ৪৭২ টাকা হয়েছে নাগাল্যান্ডের তুলনায়। লোক কল্যাণ মুলক অর্থের ঘাটতি মেটাচ্ছে বিদেশী পন্য।

শিক্ষা ব্যাবস্থা উন্নতি না করলে এগিয়ে বাংলা থেকে যাবে বরং সোনার বাংলা হবে না, এমনটাই মন্তব্য করেন অশোক লাহিড়ী। একদম শেসে তিনি এও বলেন ত্রানের সরকার পরিত্রানের সরকার হতে পারবে না, বরং ত্রানের সরকার থেকে যাবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *