আজ খবর ডেস্ক- সিলিয়ালের পর্দায় শাশুড়ি-বউমার সম্পর্কের টানাপোড়ন তো আমরা প্রত্যেকেই দেখেছি। শাশুড়ির শাসনে যুবুথবু হয়ে থাকে বউমা , সে সব গল্পও নতুন নয়। এই বিষয়ে ঠাট্টাও কম হয় না। কিন্তু এই ভয় আসলে কতটা গুরুগম্ভীর বিষয় তা কি জানেন আপনি?

প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু নিয়ে ভয় থাকে। কারও জলে নামতে ভয় হয়, কারও আবার অন্ধকারে ঘরে ঢুকতে ভয় পায়, কেউ আবার উচু জায়গায় চড়তে ভয় পায়। এমন নানা ধরনের ফোবিয়ার বিভিন্ন ধরনের নামও রয়েছে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন , শাশুড়িকে ভয় পাওয়ারও একটি নাম আছে। কি সেই নাম তাকে বলা হয় ‘পেনথেরাফোবিয়া’। এটিকেও এক বিশেষ ধরনের ফোবিয়া বলে গণ্য করা হয়।

গ্রিক ভাষায় ‘পেনথেরা’ শব্দের অর্থ হলো শাশুড়ি। আর ‘ফোবিয়া’ – র অর্থ হল ভয়। অভিধান অনুযায়ী, শাশুড়িকে ভয় পাওয়া কিংবা অপছন্দ করার বিষয়টিকে পেনথেরাফোবিয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অতীতের কোনও খারাপ অভিজ্ঞতা, ভয় বা লজ্জাজনক ঘটনা মনে বসে গেলে, তার থেকেও এই ধরনের আতঙ্ক বাসা বাঁধতে পারে। আবার অনেক সময় কোনো সামাজিক কারণেও কোন ব্যক্তি এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। তেমনই একটি ফোবিয়া হল পেনথেরাফোবিয়া।

সৌজন্যে সমাজমাধ্যম

পেনথেরাফোবিয়ার ঝুঁকিগুলি কী কী?

যে কোনও ফোবিয়ার মতো পেনথেরাফোবিয়ারও কিছু ঝুঁকি রয়েছে। এই ফোবিয়ার কারণে মানসিক চাপ অতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছালে, উদ্বেগ বাড়তে থাকে। অনেকক্ষেত্রে তাদের মধ্যে নিজেদের সামাজিক মেলামেশা থেকে বিরত রাখার প্রবণতা তৈরি হয়। লাজুক হয়ে যান।

পেনথেরাফোবিয়ার লক্ষণ কী কী?

শাশুড়ির উপস্থিতিতে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, ঘাম ঝরতে থাকে। কিছু জনের রক্তচাপের মাত্রাও বেড়ে যায়। বমিভাব, গা গোলানো, কাঁপুনি, পেট ব্যথা শুরু হয়ে যায় অনেকের। ফোবিয়া চরম মাত্রায় পৌঁছালে শাশুড়ির উপস্থিতিতে অনেকসময় কেউ কেউ কথা বলার ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন।

এমন ফোবিয়া দেখা দিলে প্রয়োজনে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।

সৌজন্যে সমাজমাধ্যম

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *