আজ খবর ডেস্ক- চারদিকে করোনার প্রকোপ অন্যদিকে বদলে যাওয়া মরশুমে প্রায় জ্বর, গায়ে ব্যাথা। এর মধ্যে চিন্তার বিষয় হলে দাড়ায়, করোনা নয় তো?

তবে চিন্তার বিষয় এই করোনার থেকেও বেশি পরিমাণে রোগে ভুগতে হয় ফ্লু হলে। করোনার থেকে দীর্ঘ সময় বেশি আটকে থাকতে হয় ঘরে। তবে বেশ কিছু পদ্ধতি মেনে চললে খুব সহজেই এই ফ্লু এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

চিকিৎসকেরা বলছেন করোনার থেকে সামান্য আলাদা এই ফ্লু। শরীরে ফ্লু দেখা দিলে তা সাধারণত ২-৩ দিন পর বোঝা যায়। প্রয়োজন হয়ে পরে যথাযথ খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার। ফ্লু সহজেই ছড়িয়ে যায়, তাই একে প্রতিরোধ করতে রোগীর ঘরে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সঙ্গে নিতে হবে বিশ্রাম। কারণ এই ক্ষেত্রে রোগী খুবই দূর্বল হয়ে পরে। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় ফুসফুসের সংক্রমণ এবং এই ফ্লু দেখা দিলে শরীরে জলের পরিমাণ কমে আসে। তাই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ঘনঘন জল খাওয়া। চিকিৎসকরা এইসব ক্ষেত্রে সেই উপদেশ দিয়ে থাকেন রোগীদের।

চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোগীকে নিয়মিত ব্লাড প্রেসার এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ পরীক্ষা করা উচিত। হার্ট অ্যাটাকের চান্স থেকে যায় তাই চিকিৎসকরা বলেন নিয়মিত ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করলে তা হাতের নাগালে রাখা সহজ হতে পারে। রোগীরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খান। সেই ধরনের ওষুধগুলি চালিয়ে যাওয়া উচিত নাকি সেই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

চিকিৎসকেরা বলেন, নিয়মিত গরম জলে স্নান করা উচিত এই সময়। পাশাপাশি ঘন ঘন গরম জলের ভাপ নেওয়া উচিত রোগীর। নজর রাখতে হবে ঘর যেন শুকনো না হয়ে যায়। বরং ঘরে সব সময় আদ্রতা জনিত পরিবেশ বজায় রাখ এই সময় অত্যন্ত জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ।

এই সময়ে, জরুরী হয়ে পড়ে রোগীরা কি খাচ্ছেন সেই বিষয়ে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ভিটামিন সি ভিটামিন এ জাতীয় খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি যব, খিচুড়ি, ডাল শরীরের পক্ষে ভালো। এমন সময় সেই সব ধরনের খাবার খাওয়া উচিত যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে এবং সহজে হজম হবে নিজেও। কোনও মূল্যেই জাঙ্কফুড খাওয়া যাবে না। চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসা করে তবেই কোনও ধরনের কাফ সিরাপ খাওয়া যেতে পারে, কারণ তাতে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি থাকে।

মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথা, গা বমি ভাব, ডিহাইড্রেশন এবং রক্ত বমির মতন উপসর্গ দেখা যেতে পারে ফ্লু হলে। এমন অবস্থায় অবহেলা না করে যথাসম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত রোগীর। এই সব ধরনের নিয়ম মানলে সহজেই রোগী মুক্তি পাবে ফ্লুয়ের হাত থেকে। অনেক সমস্যা হয়ে দাড়ায় ফ্লু এর কারণে রোগী মৃত্যু। তাই অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এ ধরনের নিয়মকানুন মানলে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *