আজ খবর ডেস্ক- কালীপুজো ও দীপাবলি উপলক্ষে রাজ্যজুড়ে বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট । যেকোনও ধরনের বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল আদালত। পূর্বে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শুধু ‘গ্রীন বাজি’ পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ‘গ্রীন বাজি আর অন্যান্য বাজি আলাদা করার কোনো সঠিক প্রযুক্তি আমাদের কাছে নেই’ জানিয়ে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে সমস্ত রকমের বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হল রাজ্যে।
নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, “বেঁচে থাকার অধিকার মৌলিক অধিকার। বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে ক্ষুদ্র স্বার্থ উপেক্ষা করতে হয়। পরিবেশ বান্ধব বাজি চিহ্নিত করার কোনও উপায় নেই পুলিসের।পুলিসের পক্ষে বাজি চিহ্নিত করা অসম্ভব। করোনা প্রতিদিন বাড়ছে। যাঁদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের আরও বেশি সমস্যা হতে পারে।” একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশ কোথাও কোনরকম বাজি বিক্রি করা যাবে না, এমনকি বাজির বিজ্ঞাপনও দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। তবে প্রদীপ ও মোমবাতি ব্যবহার করা যাবে। সেই বিষয়টি নিশ্চিত করবে রাজ্য।
উৎসবের মরশুমে বাজি ফাটানোর নিয়ম আগেই সময় দিয়েছিল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। পর্ষদের তরফে জানান হয়েছিল , কালীপুজো ও দীপাবলিতে রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য বাজি ফাটানো যাবে। ছট পুজোরদিন সকাল ৬ টা থেকে ৮ টা, ২ ঘণ্টা বাজি পোড়ানো যাবে। আর বড়দিন ও নববর্ষ উপলক্ষে রাত ১১ টা ৫৫ থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ৩৫ মিনিটের জন্য বাজি পোড়ানো যাবে।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই ময়দানের পরিবর্তে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় উত্তর কলকাতা সিঁথির সার্কাস ময়দানে বাজির বাজার বসার কথা জানানো হয়েছিল। গত শনিবারই সেই বিষয় নবান্নে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়। তিনি জানিয়েছিলেন, বাজার বসানোর জন্য দমকলের ছাড়পত্র ও সরকারে অনুমতি মিলেছে। তবে হাইকোর্টের এই নয়া নির্দেশের পর রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে কি বদল আসবে , না পুরনো ঘোষণা বহাল থাকবে সেই নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে বাজি ব্যাবসায়ীরা।