দুর্গাপুজোয় মানুষের ঢল (ফাইল ছবি)

আজ খবর ডেস্ক- পঞ্চমীর পরই ষষ্ঠী, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ছে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে। মন্ডপের ঢোকার অনুমতি দেয়নি হাইকোর্ট কিন্তু তাতে কি বাইরে থেকেই যতটা গুছিয়ে নেওয়া যায়।

ষষ্ঠীর সন্ধ্যাতেও ঢল নামল শ্রীভূমিতে। অনেকেরই বক্তব্য, দুবাই তো আর যাওয়া সম্ভব নয় তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো। যে চিত্র দেখা গেল শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে সন্ধ্যায় তা কার্যত উদ্বেগের কথা উস্কে দিচ্ছে সকল এবং সাধারণের মধ্যে।

শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে দড়ি দিয়ে আটকানো দর্শনার্থীদের। একটু করে দড়ির বাঁধন হালকা হচ্ছে আর শত শত মানুষ দৌড়চ্ছেন মণ্ডপের উদ্দেশ্যে। যে উল্লাস নিয়ে দৌড়চ্ছেন সাধারণ মানুষ তা দেখে কার্যত মনে হবে হয়তো শেষ মুহূর্তে ট্রেন ধরতে যাওয়া র তারা। কিন্তু আদতে তা কিছুই নয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মণ্ডপের সামনে গিয়ে ছবি তোলা এবং দূর থেকে দেবী দর্শন। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি সাধারণ মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র ভয় নেই? দুর্গা পুজোর আগে চিকিৎসকদের তরফ থেকে বারবার সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় ঢেউ আসন্ন সামান্য ভুল ত্রুটি বা সামান্য নিয়ম লঙ্ঘন করলে কালো ছায়া নেমে আসবে ভারতের বুকে। কিন্তু সেই সতর্কবাণী কার্যত কোনও দামই রাখেনি দর্শনার্থীদের মধ্যে।

ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে মানুষের ঢল।

ভিড় ঠেলে এগিয়ে যাওয়া, দূরত্ব বিধির তো প্রশ্নই ওঠে না বরং অনেকের মুখেই নেই ম্যাক্স কারুর আবার মাস্ক পড়লেও তা রয়েছে থুতনিতে বা নাকের নিচে। শুধু শ্রীভূমি নয় কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন মণ্ডপে এরকমই চিত্র ধরা পরল ষষ্ঠীর সন্ধ্যায়।

ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওর চিত্র দেখে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ভিডিওতে দেখা গেছে পুলিশকে, কিন্তু এই লাগামছাড়া ভিড় এবং মানুষের উন্মাদনা কোথাও গিয়ে পুলিশকেও অসহায়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে বলেই মনে করছে একাংশ।

যদিও পুলিশ মহলের একাংশের দাবি অতিরিক্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিন্তু তাতেও সাধারণভাবেই পেরে উঠছেনা পুলিশ প্রশাসন। প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে একে অপরকে টক্কর, কার ভিড় কত বেশি। থিম পুজোর কল্যাণে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলেছে ভিড় এবং স্বাভাবিক ভাবেই প্রশাসনের দায় সারা মনোভাব সাধারণ মানুষকে এক প্রকার উৎসাহিত করেছে বিধি নিষেধ অমান্য করার এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *