আজ খবর ডেস্ক- গত সপ্তাহেই অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং অঞ্চলে ভারত ও চীনা সৈন্যদের মধ্যে উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল তার সঙ্গে লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোল-এ উত্তেজনামূলক পরিস্থিতি ঠেকানোর জন্য দুই সেনা মুখোমুখি হওয়ার কথা আছে বলে শোনা যাচ্ছে। যা সার্বিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করবে বলেই মনে করছেন একাংশ।
ইয়াংসি অঞ্চলে দুই দেশের সেনা মুখোমুখি হতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার দিকে এগোয়। সাধারণত এই ক্ষেত্রে নিয়ম দুই দেশের সেনারাই তাদের এলাকা ধরে টহল দিতে থাকে কিন্তু তারা পরস্পরের মুখোমুখি হয়ে গেলে তখন বাঁধাধরা কিছু দেশের নিয়ম-কানুন মেনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।
তবে চাঞ্চল্যকর ঘটনা এই যে গত ৩০ শে অগাস্ট উত্তরাখণ্ডের LAC সীমানা টপকে প্রায় শতাধিক চিনা সেনা ভারতে প্রবেশ করে। পাশাপাশি তারা একটি সেতু কেও ভেঙে, বিকল করে দিয়ে যায় বলেই খবর। সেই এলাকা ভারত চিনা সীমানা পুলিশের আওতায় নজরাধীন।
ভারতের প্রাক্তন লিউটেন্যান্ট জেনারেল বি এস জয়সওয়াল জানান, সীমানা এলাকায় প্রতিনিয়ত টহলদারি চালিয়ে যাওয়া উচিত এবং নজর রাখা উচিত যাতে কোনও মূল্যে সীমানার বা ওই এলাকার দাবি, দখলদারি অন্যের হাতে চলে না যায়। সূত্রের খবর অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের একবার ভারতীয় সেনা ও চীনা সেনা পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে মুখোমুখি হতে চলেছে। যার কারণে পরবর্তীকালে সীমা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা বৃদ্ধি না পায় সেই বিষয়েও আলোচনা করবে তারা।
প্রায় সতেরো মাস ধরে দুই দেশের সেনা মজুত রয়েছে ওই অঞ্চলে এবং আগামী দিনে আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গা যেমন হট স্প্রিং বা প্যাট্রোল- ১৫ অঞ্চলগুলি নিয়ে কথাবার্তা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন দফায় দফায় দুই দেশের সেনার মধ্যে আলোচনা ও কথোপকথন দ্রুত এবং অরুণাচল প্রদেশের সংঘর্ষপূর্ণ এলাকাগুলোতে শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে।