আজ খবর ডেস্ক- T-20 ক্রিকেটে নয়া চমক ছিল IPL। যেখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে খেলোয়াড়দের জার্সির খোলনলচে বদলে বিভিন্ন রাজ্যের হয়ে মাঠে নামতে দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য ভিত্তিক সমর্থনের ঝড় ওঠে সন্ধ্যেবেলায়।

ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন স্টেডিয়ামে এতদিন ধরে এই লিগ চললেও সেই আবেগে বাঁধ সেধেছে অতিমারি। BCCI সহ সভাপতি রাজীব শুক্লর নির্দেশে আইপিএলকে নিয়ে যাওয়া হয় দুবাই। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের অ্যাশলে গিলস প্রথমার্ধেই জানিয়ে দেন যে তাঁদের কোনও খেলোয়াড় ২০২১ সালের আইপিএলে থাকবেন না। এই পরিস্থিতিতে অনেকটাই চিরাচরিত আইপিএলের স্বভাবের পরিবর্তন হতে দেখা গিয়েছে। সবমিলিয়ে মাঠে গিয়ে আর উন্মাদনা প্রকাশ করার কোনও সুযোগ পাওয়া যায়নি এইবার।

চমকপ্রদ ব্যাপার এই হলো যে দুই ভাগে এই আইপিএল। প্রথম ভাগ হয়েছিল ৯ এপ্রিল থেকে ৩০ মে এবং ফেস ২ এর খেলা ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর। প্রশ্ন উঠছে কতটা নিজেদের ধরে রাখতে পারছেন খেলোয়াররা। কোথাও গিয়ে কি এই উন্মাদনার পারদ নিম্নমুখী। জল্পনা উঠেছে ক্রীড়া মহলে। এখানে সাময়িক বন্ধ থাকলেও মাঝে আবার ভারতের খেলোয়াড়রা আইপিএলের বিভিন্ন খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এসেছেন এরই মাঝে। কখনো দেশের হয়ে আবার কখনো কোনও রাজ্যের হয়ে প্রতিদ্বন্দী খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ে নেমছে খেলোয়াড়রা।

ক্রীড়ামহলে এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, পেশাগতভাবে নিজেদেরকে তৈরি করলেও মাঝখানে ব্যবধান রেখে আবার পরে নিজের দলের হয়ে মাঠে নামলে কি কোথাও গিয়ে আশা পূরণে খামতি দেখা যেতে পারে? অনুগামীদের কথা বলতে গেলে নিজের পছন্দের দলের হয়ে গলা ফাটাতে গিয়ে কোথাও করোনার জন্যেই আইপিএলের লিগ থেকে বঞ্চিত থাকতে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা হলেও থিতিয়ে পড়েছেন তাঁরা।

খেলায় খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে সাহায্য করে দর্শকের উন্মাদনা, তাঁদের চিৎকার। যা হয়তো কোনদিন ক্রীড়াজগতের কেউ ভাবতেও পারেননি তা এবার কার্যত খেলোয়াড়দের সামনে। দর্শকদের উন্মাদনা খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে সক্ষম তাই সেই ভাবনাকে মাথায় নিয়েই কর্মকর্তারা অনুগামীদের এবং দর্শকদের আবেগের চিৎকার মাঠে শোনাচ্ছেন খেলোয়াড়দের। কিন্তু এসব কিছুর পরেও প্রশ্ন থেকেই যায় নকল পরিবেশ তৈরি করা গেলেও কোথাও গিয়ে কি তা সত্যিকারের ও আসল অনুভূতি দিতে সক্ষম?

খেলার পেশাগত আচরণ ও দায়বদ্ধতাকে কুর্নিশ। একসঙ্গে এক সূত্রে বেঁধে দেশ ও বিভাজনকে ভুলে মাঠে তৈরি নিজের সেরাটা দিতে। খেলায় হার জিৎ থাকে তবে পেশাদারিত্ব কে সামনে রেখে কালজয়ী রেকর্ড করতেও যখন দেখা যায় এই খেলোয়াড়দের, তখন হয়তো দর্শকদের সামনে উন্মাদনা ছাড়া আর কিছুই প্রতিফলিত হয় না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *