লখিমপুর খেরির ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলের অন্দরে অনেক জায়গাতেই এই কথা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর মধ্যে ইন্দিরা গান্ধীর ছাপ স্পষ্ট। এখানেই শেষ নয় দিল্লিতে কোনও সমস্যা বা পরিস্থিতি সামাল দিতে রাহুল গান্ধী যথাযথ।

এই দুই প্রসঙ্গ কে ঘিরে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অন্দরে শুরু হয়েছে তোলপাড়। তাহলে কী কোথাও গিয়ে মোদি সরকারের তরফ থেকে মানুষ সমর্থন হারিয়ে কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকবে? অন্তত লখিমপুর খেরির ঘটনা সেই প্রশ্নই উস্কে দিচ্ছে।

ঘটনা এই দিক থেকে অন্য আরও বড় চাঞ্চল্যকর প্রশ্নের সামনে ফেলে দিয়েছে বঙ্গ শাসক দলকে। সাংসদ সঞ্জয় রাউত ঘোষণা করেন আম আদমি পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস অযোগ্য তারা তাদের গুরুত্ব ধরে রাখতে পারার বদলে উল্টে বিজেপিকে সাহায্য ঠেলে দেবে।

লখিমপুর খেরি হত্যাকাণ্ড ঘটার পর মৃতদের পরিবারের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দেখা করতে যাওয়ার সময় তাঁকে আটকে দেওয়া হয় এবং এরপরেই দেশজুড়ে প্রতিবাদে সরব হয় কংগ্রেস এবং সেই ঘটনা কার্যত দেশের সামনে এক উদাহরণ চিত্র তুলে ধরেছে বলেই মনে করছেন একাংশ। কার্যত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মৃতদের পরিবারের সঙ্গে পরে দেখা করতে পারলেও প্রথমে তাঁকে গ্রেফতার হতে হয় পুলিশের হাতে কারণ পুলিশ ওই অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছিল আগেভাগেই।

একদিকে যেমন ইন্দিরা গান্ধির সঙ্গে তুলনা টানা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ঠিক তেমনভাবেই পুরনো একটি ঘটনার কথা তুলে ধরা হয় এদিন। ১৯৭৭ সালে অক্টোবর মাসের ৩ তারিখ গ্রেফতার হন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু তারপরেও বিহারের এক ঘটনায় তাঁর উপস্থিতি পরবর্তী নির্বাচনে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিল তাঁকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *