আজ খবর ডেস্ক- একনাগাড়ে বেড়েই চলেছিল ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, সেই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছিল লালবাজার। সেই আলোচনার মাধ্যমে উঠে এসেছিল, ২৪ ঘন্টা ফোনে জালিয়াতির নালিশ জানানোর হেল্পলাইন নম্বরের কথা। পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাঙ্ক জালিয়াতির শিকার হন। তাই তাদেরকে সহায়তা করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন মানার জন্য ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছিল পুলিশের তরফে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, জালিয়াতরা ব্যাঙ্ক থেকে টাকা সরানোর সময় কিছুটা সময় নেয়। কোনও গ্রাহক যদি ঠিক সেই সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ককে তার সঙ্গে জালিয়াতি হওয়ার ঘটনাটি জানাতে পারে, তাহলে তার মধ্যেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে সেভাবে অভিযান চালানোর হওয়া গিয়েছে বলে দাবি।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, জালিয়াতরা অধিকাংশ সময় প্রবীনদেরকে তাদের নিশানা বানান। অনলাইন মাধ্যমে আজকাল প্রায়ই টাকার লেনদেন হয় এবং প্রবীণরা সে ব্যাপারগুলোকে যথাযথভাবে বুঝতে পারেন না আর সেই সুযোগই নেয় জালিয়াতরা। ঠিক সেই সময় যদি ব্যাঙ্কের তরফ থেকে প্রবীনদেরকে লেনদেন সম্পর্কে অবগত করা যায়, তাহলে অনেক ক্ষেত্রেই জালিয়াতি আটকানো যাবে বলে মনে করছে পুলিশ মহল।
কেওয়াইসি ফরম পূরণ করার জন্য নকল ব্যাঙ্ক কর্মী সেজে হাজির হয় গ্রাহকদের বাড়িতে। কথার মাধ্যমে তাদের সততার সুযোগ নিয়ে ঠকাতে সক্ষম হয় জালিয়াতরা। অন্যদিকে কার্ড সোয়াইপ বা ক্লোন একাউন্টের মাধ্যমে যথেষ্ট পরিমাণে জালিয়াতি বেড়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। পাশাপাশি প্রহরবিহীন এটিএম বাড়ছে শহরে। সেগুলোতেও জালিয়াতি দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন মাত্রায়। তাই যথা সম্ভব সেগুলিতে ক্যামেরার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে।