আজ খবর ডেস্ক- দৈনন্দিন জীবনে অনেক মানুষই প্রায় দিনের ২৪ ঘন্টাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ফলে যে দুটি বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়, তা হল খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুমোনো।

দেরি করে খাওয়া এবং ঘুমোনোর জন্য হতে পারে বহু সমস্যা যা মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। সম্প্রতি এক বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণায় উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর সেই তথ্য। পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটির পেরেলমান স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকদের কথায়, বেশি রাত করে খাওয়া-দাওয়া করলে ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। যা ডায়াবেটিসের সমস্যা তৈরি করে।

রাত করে খাওয়া দাওয়া করলে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কোলেস্টেরলের সমস্যা বেড়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে হার্ট এ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। গবেষকদের দ্বারা দুটি ভিন্ন দল তৈরি করে বিভিন্ন সময় তাদের খাওয়া-দাওয়া এবং ঘুমোনোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

একদল তাড়াতাড়ি খেয়ে এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ে এবং অন্য আরেকটি দল বেশি রাত করে খেয়ে বেশি রাত জেগে বেলা করে ঘুম থেকে ওঠে। এই ক্ষেত্রে দেখা যায় দেরি করে খেয়ে রাত করে ঘুমিয়েছেন যারা, তাদের কোলেস্ট্রল, ওজন এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।

বেশি রাত করে খেলে একাধিক সমস্যা দেখা যায় মানুষের শরীরে, সেগুলি হল:-

মস্তিষ্কে প্রভাব পড়া- গবেষকদের মতে বেশি দেরি করে খেলে বা রাত করে ঘুমোলে, তা মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। এতে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়।

দুঃস্বপ্ন দেখা- চিকিৎসা বিজ্ঞানে দেখা গিয়েছে, যারা বেশি রাত করে খবর খান, এবং বেশি রাতে ঘুমোতে যান, তারা দুঃস্বপ্ন বেশি দেখেন। এটিও মস্তিষ্কে চাপ পড়ার কারণে হয়ে থাকে।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি- একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সকল মানুষ রাত করে খান, তাদের রক্তচাপের সমস্যায় ভুগতে হয়। রক্ত চাপের পরিমাণ বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি সমানভাবে বেড়ে যায়।

গ্যাসের সমস্যা- বেশি রাত করে খেলে গ্যাসের সমস্যা দেখা যায়। কারণ খাবার হজম করতে বেশি সময় পায় না শরীর। এবং সেই কারণে গ্যাসের লক্ষণ দেখা যায়।

খিদে বাড়ায়- বেশি রাত করে খেলে শরীরে একধরনের হরমোন তৈরি হয়। একে বলা হয়, গ্লুকোজ গ্রেলিন। এই কারণে পরের দিন সকালে খিদে বেশি পায় এবং তাতে বেশি খাবার খেয়ে নেন অনেকেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *