আজ খবর ডেস্ক– এখনও কালী পুজোর ঢের দেরি। তবে দুর্গাপুজোর অষ্টমীর সন্ধ্যায় ব্যাপক হারে বাজি ফাটল পূর্ব বর্ধমানের সরাইটিকর আমতলা রোডের দুর্গা মন্দিরের সামনে। যদিও অনেকের মতে ‘উৎসব তো’।

শব্দ দূষণ বা পরিবেশ দূষণের বিন্দু মাত্র তোয়াক্কা না করেই ব্যাপক হারে বাজি ফাটানো হলো এলাকায়। এক হাত দূরেই দুর্গা মন্দির, চলছে সন্ধি পুজো তার মধ্যেই এই কীর্তি এলাকার কিছু ছেলের বলে অভিযোগ। এদিন রাত্রি সাড়ে বারোটা নাগাদ সন্ধিপুজো ছিল আমতলা দুর্গামন্দিরে কিন্তু তার কিছুক্ষণ আগে থেকেই নাগাড়ে বাজি ফাটতে থাকে ওই মন্দির চত্বরে। অনেকবার মন্দির কর্তৃপক্ষর তরফ থেকে ঘোষণা করেও থামানো যায়নি বলে অভিযোগ।

ওই এলাকার এক বাসিন্দা, সম্বিত ভট্টাচার্য বলেন, পুজো দিতে এসেও হয়রানি হচ্ছে বাজির শব্দর জন্যে সমস্যা হচ্ছে, ঠিকভাবে পুজো উপভোগ করতে পারলাম না। অন্যদিকে তাঁরই ভাই সাগ্নিক ভট্টাচার্যও ক্ষোভ উগরে দেন, তিনি বলেন, “এই ধরনের মনোভাবের জন্যই এলাকায় বেরতে ইচ্ছা করে না।”

কার্যত প্রশ্ন উঠেছে যখন একনাগাড়ে এত রাতে বাজি ফাটছে তখন প্রশাসনের কাউকেই এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়নি কেন। মাত্র ঢিলছোড়া দূরত্বে আরেকটি পুজো হচ্ছে, সেখানে মোতায়েন রয়েছেন অনেকেই। তাহলে কি সেই বিকট শব্দ অনেকের কানে পৌঁছেও পৌঁছচ্ছে না। বলা বাহুল্য পুজোর সময় এভাবে বাজি ফাটানোতে অসুবিধার মুখে পড়েছেন অনেকেই।

ওই এলাকায় ঘুরতে এসে সৌরভ হাজরা বলেন, “কালীপুজোর তো এখনও অনেক দেরি, এরকম ভাবে চলতে থাকলে কালিপুজোর সময় কি হবে সেই নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।”

দূরদর্শিতা এবং অসহনীয় ভাব প্রকাশ পেল দুর্গাপুজোর সময়। কার্যত তো এই প্রশ্নই উস্কে দিচ্ছে তাহলে কি কালী পুজোর সময় আরও বেশি মাত্রায় বাজি ফাটবে? অষ্টমীর দিন সন্ধ্যেবেলা কার্যত এই চিত্র দেখে অনেকেই হতাশ। প্রশ্ন উঠছে আশেপাশের এলাকায় কোনও হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি থাকলে তাঁর সমস্যা হলে সেই দায় কে নিত? প্রশ্ন উঠছে অনেকের মনেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *