গ্রেফতারের পর আরিয়ান

আজ খবর ডেস্ক– গত ৩রা অক্টবার কর্ডেলিয়া নামক এক প্রমোদতরী থেকে মাদকাসক্ত অবস্থায় গেফতার হন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান। প্রথমে তিনি অন্য কথা বললেও পড়ে স্বীকার করেন যে তিনি জেনে বুঝেই ওই প্রমোদতরীতে সওয়ার হয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, মাদকও নিয়েছিলেন।


অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর মাদক ব্যাবসার বলিয়ুডের অন্ধকার গলি হাতড়াতে শুরু করে এনসিবি। আর এইবার ক্ষোদ বলিয়ুড বাদশার পুত্র। টানা ১৬ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। প্রথমে তিনি জানান আগে কখনও তিনি মাদক নেননি, কিন্তু কঠোর জেরায় ভেঙে পড়েন। জানা যায় আগেও মাদক নিয়েছিলেন তিনি। চার বছর ধরে মাদক নিচ্ছেন। বিদেশেও মাদক নিয়েছেন যেমন দুবাই, লন্ডনেও গিয়েছিলেন তিনি। এদিন সকালে শাহরুখের বাড়িতে যান অভিনেতা সলমন খান।


নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস বা (এনডিপিএস)-আইনের আওতায় গ্রেফতার হন আরিয়ান। এছারাও মুনমুন ধমেচা, নূপুর সারিকা, ইস্মিত সিং, মহক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত ছোকর, গমিত চোপড়া এবং আরবাজ শেঠ মার্চান্ট। ইতিমধ্যেই ছেলের জন্য শাহরুখ আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডেকে নিয়োগ করেছেন। প্রসঙ্গত অনেকে মনে করছেন আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত গুজরাতের মুন্দ্রা বন্দরে ৩০০০ কেজি হেরোইন উদ্ধারের ঘতনাকে কার্যত আড়াল করার জন্যেই এই দিকে নজর।

আরিয়ানকে সোমবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নিয়ে গেলেই তাঁর হয়ে জামিনের আবেদন করবেন সতীশ মানশিণ্ডে। এনসিবি-র প্রাথমিক তদন্তে দাবি, ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১,৩৩,০০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে মুম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীর টার্মিনালে। আরিয়ানের লেন্সের বাক্সতেও ছিল মাদক, এনসিবি সূত্রে খবর। আপাতত হেফাজতেই থাকবে আটকরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *