আজ খবর ডেস্ক- এককথায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখতে পেল আফ্রিকার সুদান। ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামডোক গ্রেপ্তার হওয়ার পরই সেই দেশের সংগঠিত সরকার ভেঙে যায়। প্রতিবাদে রাস্তায় নামে হাজার হাজার মানুষ।

সকালে প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামডোক এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের পর, হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন রাজধানী খার্তুম এবং ওমদুরমানের রাস্তায়। ভিডিও ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায় প্রতিবাদকারীরা রাস্তা অবরোধ করছে, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করছে। ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে নিরাপত্তা বাহিনী।

এই বিশৃংখলার জন্য কমপক্ষে বারোজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যদিও ঠিক কতজন এই ঘটনায় আহত হয়েছে, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিন সামরিক বাহিনীর প্রধান, জেনারেল আবদেল-ফাত্তাহ বুরহান জানান, তিনি সরকার ভেঙে দিচ্ছেন। দীর্ঘ সময় ধরে রাজনৈতিক ও সামরিক দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। যাতে চাপানউতোর বেড়েছে এবং সামরিক বাহিনীকে নামতে হয়েছে পরিস্থিতি সামাল দিতে।

ইতিমধ্যেই জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এবং এও জানানো হয়, সামরিক বাহিনী একটি ‘টেকনোক্র্যাটিক সরকার’ নিয়োগ করবে, যা দেশকে নির্বাচন ব্যবস্থায় আনতে পারবে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে নির্ধারিত হয়ছে এই নিয়ম। তিনি বলেন, পরে একটি আইনসভা গঠন করা হবে।

হামডোকের কার্যালয়ের তরফে এই ঘটনাকে ‘আঘাত’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার জেরে ওই এলাকায় ইন্টারনেট বিভ্রাট চলে। বিশৃংখলার এই খবর সম্প্রচার করার জন্য সম্প্রচার মন্ত্রক থেকেও বেশ কিছু কর্মীকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয় বলে খবর। সেনাবাহিনীর তরফে ক্ষমতা দখল করে নেওয়ার ঘটনা আগেও ঘটেছিল। এর পরেই আবারও যে ঘটবে সেই বিষয়ে তৈরি ছিলেন দেশবাসী। আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হিসেবে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা এবং একমত হওয়াই বুদ্ধিমানের পথ হবে বলে মনে করছে সেই দেশের কমিশন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *