আজ খবর ডেস্ক- হাতে আর সময় বেশি নেই। তার মধ্যে নিভে যাবে পৃথিবী। বায়ুমণ্ডল বলে হয়তো আর কিছুই থাকবে না। এক কথায় বলতে গেলে পৃথিবীতে আর বাসযোগ্য করার মতন কোনও পরিস্থিতি আর অবশিষ্ট থাকবে না। এই তথ্য তুলে দিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জর বিজ্ঞানীরা। সত্য প্রকাশিত হওয়া একটি গবেষণাপত্র গ্লোবাল চেঞ্জ বায়োলজি তে ইউনাইটেড নেশন্স অ্যাসেসমেন্ট অব ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন্স নামে এক গবেষণায় এই তথ্যেরই উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে।
যে তথ্য ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে তা শুনলে চমকে উঠতে হবে। পৃথিবীর আয়ু আর মাত্র চারশো বছরের কাছাকাছি। প্রতিটি রাষ্ট্র থেকে যে বিষাক্ত গ্যাস বা গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হচ্ছে তা ধীরে ধীরে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলছে। প্রায় ৮০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ২.৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যা বেশি মাত্রায় দাবানল সৃষ্টি করতে সক্ষম।
সমস্ত গবেষণার নথি দেখলে অনুমান করে নেওয়া যায় যে ২১০০ সালে পৃথিবী ভিনগ্রহের আকার নেবে, যেখানে মানুষ বসবাস করতে পারবেন না।
‘প্যারিস জলবায়ু চুক্তি’ আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল যে ২১০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা-বৃদ্ধিকে প্রাক শিল্পযুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
তথ্যে দেখা গিয়েছে ২১০০ সালে পৃথিবীর কোন জমি আর চাষযোগ্য থাকবে না এমনকি তা ধীরে ধীরে দুই মেরুর দিকে সরে যেতে শুরু করবে। পাশাপাশি গলে যাবে দুই মেরুর বরফ, তাই নিচে থাকা স্থল ভাগ উপরে উঠে আসবে। শুকিয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে আমাজন নদীও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত তথা ট্রপিক্যাল অঞ্চলগুলি আর মানুষের বসবাসযোগ্য থাকবে না।