আজ খবর ডেস্ক- একদিকে বাড়তি কার্বন গ্যাসের জন্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে মানুষের বাড়তি কার্বন ব্যাবহারের জন্যে বাড়ছে কার্বনের মাত্রা, অন্যদিকে কেন জলবায়ু এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন বারে বারে খামখেয়ালি ভাব দেখায়, এবং অন্যদিকে কোনও বস্তুতে যে চিরাচরিত বিশৃঙ্খলতা দেখা যায়, সেই গঠন শৈলী থাকা সত্তেও, অর্থাৎ (কমপ্লেক্স সিস্টেমস) সেই আবিস্কার। এই তিন যুগান্তকারী আবিস্কার করে ঝুলিতে নোবেল পুরস্কার ভড়লেন এই তিন মহারথী। স্যুকোরো মানাবে, ক্লাউস হাসেলম্যান এবং জিওর্জিও পারিসি, এই তিন নক্ষত্রের হাতে সেরার শিরোপা।
মানাবে জাপানি এবং আমেরিকা, হাসেলম্যান জার্মানি এবং পারিসি ইতালি উদ্ভূত। গত বছর, পদার্থবিজ্ঞানের পুরস্কারটি ব্রিটাইয়ের রজার পেনরোজকে জার্মানির রেইনহার্ট ও আমেরিকার অ্যান্দ্রিয়াকে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের গবেষণা ছিল ব্ল্যাক হোলের উপর। কোনও কিছুকেই ছাড় দেয়না এই ব্ল্যাক হোল, এমনকি আলোর রশ্মিকেও বাদ দেয় না শুষে নিতে।
মানাবে আগে জলবায়ু মডেলে ব্যাপক উন্নতি করেছিলেন। মানাবে প্রথম যুগল মডেল তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, যেখানে ১৯৭০ এর দশকে সমুদ্র এবং বায়ুমণ্ডলীযর ব্যাপারে একসঙ্গে গবেষণা করা হয়েছিল। অন্যদিকে হাসেলম্যান মহাসাগর নিয়ে পড়াশুনো চালিয়ে যান এবং তাঁর গবেষণার মধ্যে তুলে আনেন বায়ুমণ্ডলের যে পরিবর্তন তা কি মানব দ্বারা গঠিত হচ্ছে নাকি প্রাকৃতিক উপায়ে।
অধ্যাপক মানাবের গবেষণাটি ছিল গত শতাব্দীর ছয়ের দশকে। হাসেলম্যান তাঁর গবেষণাটি করেছিলেন সাতের দশকে। আর পারিসির গবেষণাটি ছিল আটের দশকের। কিন্তু যথাক্রমে এই তিন মডেলের বাস্তবতা আজ অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন নোবেল কমিটি। খামখেয়ালিপনা ও পৃথিবীর জল হাওয়ার তারতম্যে সবটাই যে মানব তৈরি কার্বন ডাই অক্সাইড থেকেই আসছে এটা তার প্রমান।
নোবেল কমিটি থেকে বলা হয়েছে, মানাবে এবং হাসেলম্যান যৌথ ভাবে এই পুরস্কারের অর্থ পাবেন এবং পারিসি অর্ধেক ভাগ পাবেন।