আজ খবর ডেস্ক- দেশজুড়ে একাধিক রাজ্যে এক লাফে আকাশ ছুলো টমেটোর দাম। দিল্লিতে কেজি প্রতি টমেটোর দাম ৩০ টাকা বেড়ে ৫৭ টাকা হয়েছে। মুম্বাইয়ে ১৫ টাকা থেকে বেড়ে কেজি প্রতি টমেটোর দাম হয়েছে ৫৩ টাকা। চেন্নাইয়ে প্রতি কেজি টমেটোর দাম ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৭ টাকা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কলকাতায়। কলকাতায় কেজি প্রতি টমেটোর দাম ৩৮ টাকা থেকে বেড়ে ৭২ টাকায় দাড়িয়েছে।

কিছুদিন আগেই দেশজুড়ে রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে। তখনও কলকাতায় রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছিল সর্বাধিক। তার উপর পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গিয়েছে।

দুর্গাপুজো প্রায় অন্তিম লগ্নে এসে পড়েছে। আর কিছুদিন পরই লক্ষী পুজো তার আগে বাঙালি হেসেলের মূল সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম টমেটোর এত দাম বাড়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালির মাথায় পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
আজাদপুর টমেটো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, ” মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মতো প্রধান উৎপাদনকারী রাজ্যে অকাল বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে, যে কারণে মেট্রো শহরের খুচরা বাজারে টমেটোর দাম কিলোগ্রাম প্রতি এতটা বেড়ে গিয়েছে। “
জাতীয় রাজধানীর আজাদপুর মান্ডি ফল এবং সবজির এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি বাজার।

এমনকি শিমলার মতো পার্বত্য অঞ্চলেও অকাল বৃষ্টির কারণে টমেটোর ফলনের ক্ষতি হয়েছে। ৬০ শতাংশ টমেটোর ফসন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে।

ফলস্বরূপ, এক মাসে টমেটোর দাম আজাদপুর মন্ডিতে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ৪০ থেকে ৬০ টাকার কাছে বেড়েছে, যে কারণ পণ্যটির দৈনিক আগমন ২৫০-৩০০ টনে নেমে এসেছে।

বর্তমানে, মধ্য প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ এবং কর্ণাটকেই প্রধানত ক্রমবর্ধমান হারে টমেটো উৎপাদনের কাজ চলছে। টমেটো ফসল রোপণের প্রায় ২-৩ মাসের মধ্যে ফসল কাটার জন্য প্রস্তুত করে এবং বাজারজাত করা হয় ।

ন্যাশনাল হর্টিকালচারাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের মতে, চীনের পর ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম টমেটো উৎপাদনকারী, যেখানে ৭.৮৯ লক্ষ হেক্টর এলাকা থেকে প্রায় ১৯.৭৫ মিলিয়ন টন টমেটো উৎপাদন করা হয়, ওই জমির গড় ফলন ২৫.০৫ টন।
তাই অকাল বর্ষণে টমেটোর ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই দাম বেড়েছে। তবে যাই হোক না কেন উৎসবের মরসুমে এইভাবে একের পর এক জিনিসের দাম বাড়তে থাকায় গৃহস্থের যোগান দিতে নাভিশ্বাস তুলতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *