সপ্তাহ শেষ হতেই কালীপুজো। তার আগে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফ থেকে রাজ্যে শুধুমাত্র ‘গ্রিন’ বাজি বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হল। বলা হয়েছে, দীপাবলির দিন রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত, শুধুমাত্র ২ ঘণ্টার জন্য বাজি ফাটানো যাবে। ছট পুজোর দিনও সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত, মাত্র দু ঘণ্টার জন্য বাজি ফাটানো যাবে। বড়দিন ও নববর্ষ উপলক্ষে রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি ফাটানোর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার।

এর আগে কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করে এক সমাজ কর্মী। আগামী শুক্রবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের অবসরকালীন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে ।

তার মধ্যে সম্প্রতি জানা গেছে, ময়দানের পরিবর্তে, রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় এবছর বাজির বাজার বসতে চলেছে উত্তর কলকাতার সিঁথির সার্কাস ময়দানে। গত শনিবারই নবান্নে মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেছেন সারা বাংলা আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়। তারপরই তিনি সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, রাজ্য সরকার ও দমকলের তরফ থেকে বাজি বাজার বসানোর জন্য একদিকে যখন ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে, তখন বাজি নিষিদ্ধ করা নিয়ে কি হবে আগামী দিনে হাইকোর্টের রায়ে ?

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, এর আগেও ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের জেরে বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এমন কি বাজি বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এই বছরও করোনাভাইরাসের প্রভাব কম হয়নি রাজ্যে। তাই আগামী দিনে হাইকোর্টের রায়ে উৎসবের মরশুমে রাজ্যে বাজি ফাটানো নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় সরকার সেই দিকে তাকিয়ে সাধারণ মানুষ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *