আজ খবর ডেস্ক : নারদাকাণ্ডে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর হল মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। আজই আদালত তরফে অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন এই দুই তৃণমূল নেতা ও এক প্রাক্তনী। ২০ হাজার টাকা বন্ডে জামিন পেয়েছেন তাঁরা। তবে শর্ত রয়েছে, আদালতের আগামী শুনানি পর্যন্ত দেশের বাইরে যেতে পারবেন না মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়। আদালত কর্তৃক আগামী বছর ২৮ শে জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ঘোষণা করা হয়েছে ।
অন্যদিকে ইডির আইনজীবীর তরফ থেকে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছিল যে, এই মামলায় আইপিএস মির্জার অন্তর্বর্তী জামিন থাকা সত্ত্বেও তাঁকে যেন আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। কেন তার অন্তর্বর্তী জামিন বাতিল করা হবে না? গোয়েন্দাসংস্থা ইডির পক্ষ থেকে এমন প্রশ্নই তোলা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট কেন জারি করা হবে না? সেই প্রশ্নও করা হয় আদালতের কাছে।উল্লেখ্য, নারদাকাণ্ডে আজ ফের আদালতে হাজিরা দেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র। কিন্তু জামিন পাওয়ার পরও আইপিএস মির্জার আজ ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা। এদিন সকালেই আদালতে হাজিরা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখী চট্টোপাধ্যায়। আদালতে পৌঁছেছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও।নারদ মামলায় এই চারজন সহ নাম ছিল স্বর্গীয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর বিরুদ্ধেও গত ১ লা সেপ্টেম্বর ইডি চার্জশিট দায়ের করেছিল । সেইসময় মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট জমা পড়েছিল। এরপর আদালত কর্তৃক সমন পাঠান হয়। সেই অনুসারে আজ হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল চারজনের।
২০১৬ সালে নারদা স্টিং অপারেশনকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। রাতারাতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। স্টিং অপারশনে গোপন ক্যামেরায় ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল মুকুল রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ, সৌগত রায়, শুভেন্দু অধিকারী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ আধিকারিক এমএইচ আহমেদ মির্জাকে।এরপর অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। নারদকাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাজ্যের ৪ জন হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীও। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর শেষমেশ জামিন পেয়েছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও চার্জশিট পেশ করে ইডি। বাদ যাননি আইপিএস অফিসার SMH মির্জা-ও। আজ সেই সূত্রেই আদালতে শুনানি হয়।