অভিশ্রুতি মজুমদার : ভারতীয় টেনিসকে নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে বাংলার মেয়ে আকাঙ্ক্ষা ঘোষ। লখনউয়ে গত ১৫ তারিখ থেকে আয়োজিত হওয়া অল ইন্ডিয়া টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব ১৪ একক ও দ্বৈত উভয় বিভাগে জয় হাসিল করলো বাংলার মেয়ে আকাঙ্ক্ষা ঘোষ।
একক ফাইনালে উত্তরপ্রদেশের নন্দিনী আগারওয়ালকে ৬-০ এবং ৬-৩ ব্যবধানে পরাজিত করে আকাঙ্ক্ষা। অন্যদিকে দ্বৈত বিভাগের ফাইনালে অরুন্ধতী এবং নন্দিনীর দলকে ৬-৪, ৫-৭, এবং ১০-৮ এ হারিয়ে দেয় বাংলার এই ছোট্ট মেয়ে।এর আগে প্রী-কোয়াটার ফাইনালে অবাছাই প্রতিযোগী হিসেবে উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি গৌতম নামের এক প্রতিযোগীকে হারায় আকাঙ্ক্ষা। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে নবান্ন তিওয়ারি নামের কর্নাটকের এক নম্বর প্রতিযোগীকে পরাজিত করে সে। সেমিফাইনালে উত্তরপ্রদেশের একনম্বর প্রতিযোগী উত্তরপ্রদেশের অরুন্ধতী দুগারকে হারায় সে। তারপরই সোজা ফাইনাল !
আকাঙ্খার বাবা সুরজিৎ ঘোষ জানান, ৫ বছর বয়স থেকে টেনিসের প্রশিক্ষণ নিচ্ছে আকাঙ্ক্ষা। কলকাতা জিমখানা থেকে শুরু হয় তাঁর টেনিসের যাত্রা। আকাঙ্ক্ষার বর্তমান কোচ হলেন শিবিকা বর্মন।এই প্রতিযোগিতার আগে কলকাতায় হওয়া একটি অনূর্ধ্ব ১৬ প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহণ করেছিল আকাঙ্ক্ষা। ভালো পারফর্মেন্স দেখিয়ে ফাইনালে ওঠে সে। তবে শেষে জিত হাসিল হয়নি। সেখানে অবশ্য অনূর্ধ্ব ১২ প্রতিযোগী হয়ে, অনূর্ধ্ব ১৬ বিভাগে অংশগ্রহণ করেছিল আকাঙ্ক্ষা। আকাঙ্খার বাবা সুরজিৎ বাবু জানিয়েছেন, আগামী দিনে ভারতের টেনিস দলে দেখতে চান মেয়েকে। সেই সঙ্গে গ্র্যান্ড স্ল্যামেও মেয়ের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রবল আশাবাদী তিনি।
এরপর আজ খবরের তরফ থেকে আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। তখন আকাঙ্ক্ষা জানায়, ‘ এই সাফল্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে। ‘ সেই সঙ্গেই ছোট্ট মেয়ের কথাতেও জাতীয় দলের হয়ে খেলার ইছের কথা শোনা যায়। ন্যাশনাল হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া আকাঙ্ক্ষা। প্রিয় বিষয় ইংরেজি। টেনিসের পাশাপাশি আঁকা ও সাঁতারে বিশেষ আগ্রহ রয়েছে তাঁর।