আজ খবর ডেস্ক- রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় রাজ্যের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন রাজ্যে বিনিয়োগ এবং শিল্প নিয়ে, এরপরই কার্যত হুঙ্কারের সুরে অমিত মিত্র বিধলেন রাজ্যপালকে। রাজ্যপালের তরফে একটি টুইট করা হয়, সেখানে লেখা হয়, গত একবছরে তিনি তাঁর প্রশ্নের উত্তর পাননি। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর অর্থ দপ্তরের উপদেষ্টা অমিত মিত্র, জবাবে টুইট করে জানান, এক বছর আগেই তিনি একটি চার পাতার দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলেন জগদীপ ধনকড়কে। এমন দুমুখো আচরণ কেন করছেন তিনি, সেই নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তাঁর টুইটে।
রাজ্যপালকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, রবার্ট লুই স্টিভেনসন এর ড. জ্যাকেল এবং মি. হাইডের চরিত্র মনে করতে পারছেন অমিত। পাশাপাশি তিনি টুইট করে একথাও বলেন, আগে সম্প্রীতি এবং ঐকতার কথা বললেও এখন হঠাৎ করে এমন কথা বলছেন কি করে তিনি?
অমিত মিত্র টুইট করে জানান, আগে রাজ্যপাল একতাতে বিশ্বাস করতেন, কিন্তু তারপরেই একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে অন্য কথা বলেন। তাঁর একাধিক টুইটে তিনি বলেন, চার পাতার চিঠিতে স্পষ্ট লেখা আছে বঙ্গে কিরকম বিনিয়োগ হচ্ছে, কি তার রূপায়ণ, আগামী দিনে কি ভাবনা চিন্তা আছে। এসব কিছু বিস্তারিত ভাবে লেখার পরেও কেন এমন ভুলে যাওয়ার মত আচরণ করছেন তিনি। পাশাপাশি, অমিত মিত্র বলেন, সম্ভাব্য রাজ্যপাল অ্যামনেসিয়ার সমস্যায় ভুগছেন।
২০১৫-২০২১৯ সালে শিল্প বিনিয়োগে পাওয়া যায় ১২ লাখ ৩২ হাজার ৬০৩ কোটি। ২০১৫ থেকে ২০১৮ র মধ্যে বিনিয়োগ হওয়া অর্থের ৫০ শতাংশের বেশি অর্থ ইতিমধ্যেই বাস্তবায়নের মুখে। অমিত মিত্র এও বলেন, ২০১৯-১১ সালে রাজ্যের জিডিপি ছিল ৪.৬ লাখ কোটি, এবং পরে ২০১৯-২০ সালে তা বেড়ে দাড়ায় ১২.৫ লাখ কোটি। যদিও এ প্রসঙ্গে বিপুল বিনিয়োগের কথা শোনালেও বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, কোথায় শিল্প? গত ১০ বছরে সেই ভাবে উল্লেখ যোগ্য শিল্প কোথায় এসেছে তা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। একইসঙ্গে রাজ্যপাল অমিত মিত্রের টুইটের পাল্টা উত্তর দেন, তিনি বলেন, অমিত মিত্রের মতন ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে এ ধরনের উত্তর প্রত্যাশা করেননি তিনি।