আজ খবর ডেস্ক- বীরভূমের বীর ‘কেষ্ট দা’ অনুব্রত। কথায় কথায় সোজাসাপ্টা তিনি। কখনও বলেন, রাতের অন্ধকারে কর্মীরা আদর করে আসবেন, আবার কখনও তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আপ্যায়ন করার জন্যে থাকবে গুড় বাতাসা বা সোহাগ’। তাঁর কথার রেশ ধরে তৈরি হয়েছে বহু জল্পনা। বিরোধীরাও কটাক্ষ করেছেন বহু। তবে এবার তিনি বললেন, ‘মানুষের রায় নেবেন। অনেক অন্যায় হয়েছে, আর নয়।’
রবিবার তিনি এক বৈঠকে বলেন, ‘পুর ভোট আসছে, তাই টাউন প্রেসিডেন্ট পুর নির্বাচনের সব দিক দেখবেন। অন্যদিকে, ব্লক প্রেসিডেন্ট দেখবেন পঞ্চায়েতের খুঁটিনাটি।’ তিনি এও বলেন, ‘মানুষের কথা শুনতে হবে। তাঁদের কোথায় সমস্যা, কী চাহিদা এসব কিছুই নজরে রাখতে হবে।’
অনুব্রত বলেন, ‘অন্যায় করেছি, ভয়ঙ্কর অন্যায় করেছি। আশা করি মানুষ ভোট দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা ভেবে ভোট দেবেন।’ কিন্তু হঠাৎ করে তিনি এমন মন্তব্য করছেন কেন সেই নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। সোজা কোনও উত্তর না পাওয়া গেলেও তিনি বলেন, ‘এবার নকুলদানা বা চড়াম চড়াম ঢাক নয়। সোজাসুজি ভোট চাওয়া হবে মানুষের দরজায় গিয়ে।’
শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধীপক্ষ, সবসময় বলা হয় অনুব্রত ভোট করাতে ওস্তাদ। সে যে অর্থেই হোক, তাঁর প্রতি এই মনোভাব সকলেরই রয়েছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনুব্রত গড় বীরভূমে মনোনয়ন পেশ করতেই পারেনি বিরোধীরা। যা নিয়ে কবিতা লিখে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ। এবার কি বিলম্বিত বোধোদয়? নাকি শাসকের ঔদার্য? পুরভোট বা পঞ্চায়েত নির্বাচন, আগে থেকেই সাধারণের দরজায় পৌঁছবেন বলে স্পষ্ট করে দিলেন অনুব্রত মন্ডল।