আজ খবর ডেস্ক : রাজ্যবাসীর সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপির তরফ থেকে কোন উদ্যোগ দেখতে পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগ এনেই বৃহস্পতিবার কমলা শিবিরের (BJP) সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন শ্রাবন্তী। বেশ কয়েকদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল তাঁর মনে। এদিন টুইট করে সেই ক্ষোভই উগড়ে দিয়েই বিজেপি ছাড়লেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়।এই বিষয় মতামত জানতে বিজেপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা অনুপম হাজরার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আজ খবর।
শ্রাবন্তীর দলত্যাগ নিয়ে তাঁর কি মত জানতে চাওয়ায় অনুপম হাজরা আজ খবরকে জানায় , ” এনারা ( শ্রাবন্তী ) মূলত সুযোগ সন্ধানী মানুষ। ফলে এনাদের না আছে কোন রাজনৈতিক গুরুত্ব, না আছে কোন জনমত। তাই এনাদের মতো মানুষেরা কখন দলে এল, কখন দল থেকে চলে গেল তা আমরা কিছু অনুভবই করতে পারিনা। এনারা একসময় দলে এসেছিলেন, যখন এমন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল যে বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারে। সেই হাওয়া বুঝে এমন অনেক খড়কুটোই এসেছিল। আবার ভোটের ফলাফলে বিজেপি আশানুরূপ ফল না করতে পারায় তারা ফিরে গেছে। তাই এগুলো নিয়ে কোন যায় আসে না। “প্রশ্ন করা হয়, রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন এমন ব্যক্তি ও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের দলে নেওয়া কি তবে বিজেপির ভুল হয়েছে? উত্তরে অনুপমবাবু বলেন, ” সবাই সমান নয়। কারণ এখনও আমাদের দলে কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী আছেন যারা দলের প্রতি নিষ্ঠাবান। ফলে তাঁদের দলের প্রতি আনুগত্যকে অবশ্যই শ্রদ্ধা জানাতে হয়। এবং তাঁরা অনেকেই ভোটের আগে দলে এসেছিলেন, তবে এখনও দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে দলের সঙ্গে আছেন ও দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ফলে দুই একজনের জন্য সবাই খারাপ বলার কোন মানে হয় না তবে যারা এমন সুযোগ সন্ধানী, তাঁদের কে দলে সুযোগ দেওয়া হয়তো আমাদের কোথাও ভুল হয়েছে।”
আজ খবর অনুপম হাজরার কাছে জানতে চেয়েছিল, একের পর এক নেতাকর্মী যেভাবে দল ছেড়ে দিচ্ছে তাতে কোথাও গিয়ে কি বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে? উত্তরে তিনি বলেন, ” কিছুটা তো হয়ই। কারণ এমন সুযোগ সন্ধানী নেতা মন্ত্রী যারা রয়েছেন, যারা অনেকেই ইতিমধ্যে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন তাঁদের জন্য হয়তো সাংগঠনিকভাবে খুব একটা ক্ষতি হবে না। কিন্তু এই ধরনের কিছু সুযোগ সন্ধানী মানুষ যদি দলে থাকেন, তবে দলের ভাবমূর্তি কিছুটা নষ্ট হয়।”
শুধু অনুপম হাজরার মতো নেতৃত্বই নন, এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই স্বভাবসিদ্ধভাবে মুখ খুলেছেন তথাগত রায়। শ্রাবন্তীর জল ছাড়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই টুইট করে তথাগত রায় লেখেন, ‘আমাদের এক পুরোনো কর্মী দিনদুয়েক আগে লিখেছিলেন, উনি জয়নগরে সভা পরিচালনা করছিলেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় শ্রাবন্তী সম্বন্ধে বলছিলেন, ওর মুখ দিয়ে প্রায় লালা ঝরছিল। এই সব নেতার হাতে বিজেপির প্রার্থী চয়নের ভার ছিল। এর পরে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির যে এই অবস্থা হবে এ আর বিচিত্র কি?’