আজ খবর ডেস্ক- সদ্যপ্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল এদিন একডালিয়া ক্লাব প্রাঙ্গণে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল এবং কংগ্রেসের তরফ থেকে একাধিক বিশিষ্টজনেরা। প্রিয় নেতা এবং বন্ধুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন অনেকেই। তবে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের মধ্যেও কোথাও গিয়ে রাজনৈতিক ভেদাভেদ স্পষ্ট লক্ষ্য করা গেল এ দিন।

শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া বিজেপি বা সিপিএমের তরফ থেকে কোনও নেতা-নেত্রীদের দেখা গেল না এদিন। একডালিয়া ক্লাবের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, কুনাল ঘোষ, তাপস রায় প্রমুখ।

বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা যেমন আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্যদের মতন ব্যক্তিত্ব উপস্থিত হয়েছিলেন এই অনুষ্ঠানে। প্রথমদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কানাঘুষো শোনা গেলেও শেষ অবধি তিনি এসে পৌঁছননি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে। বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় এই অনুষ্ঠানে এসে নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। এক’দু কথার পর চলে গেলেন স্মৃতিচারণায়। তাঁর সঙ্গে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের আলাপ। একসঙ্গে বিধানসভায় বসা। যে কোনও সমস্যাকে সাবলীলভাবে সমাধান করে দেওয়ার মতন গুণের বিষয়গুলোকে তুলে ধরেন তিনি এদিন।পাশাপাশি তিনি এও বলেন এত তাড়াতাড়ি এভাবে ‘সুব্রতদার’ চলে যাওয়া তিনি মেনে নিতে পারছেন না।

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের যাবতীয় কাজকর্ম করেন তাঁর ভাই দেবব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক নেতা নেতৃত্বের মুখে উঠে এসেছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সাহসী জীবনের লড়াই এবং তাঁর সংগ্রামের কথা। উপস্থিত কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেন, হাসপাতালে থাকাকালীন শেষবার কথা হয়েছিল। এরপর আর দেখা হল না তাঁর সঙ্গে। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে মানুষের সঙ্গে মিশতে জানতেন তিনি। এবছর আর বিজয়া করা হয়নি তাঁর। এই বিষয়ে শোক প্রকাশ করেন তিনি।

যদিও একাধিক নেতা নেতৃত্বদের মুখে রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে গিয়ে মিশে যাওয়ার ক্ষমতার কথা মুখে উঠে এসেছিল, তবে বাম কিংবা বিজেপির তরফ থেকে কাউকেই এই অনুষ্ঠানে দেখতে না পাওয়া যেন অন্য এক তাৎপর্য বলে মনে করছেন একাংশ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *