আজ খবর ডেস্ক- রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের তরফে, মণিমোহন ভট্টাচার্যকে হাওড়া জেলার আহ্বায়ক হিসেবে নিযুক্ত করা হল এদিন। পুর নির্বাচনের আগে বড় সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে দল। সম্প্রতি বিজেপির হাওড়া সদর সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে সুরজিৎ সাহাকে। অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি চোর বলে কটাক্ষ করেছিলেন। এর পরই তড়িঘড়ি তাঁকে বরখাস্ত করা হয় দলের তরফে। সদর সভাপতি সুরজিৎ সাহা বরখাস্ত হওয়ার পর, মণিমোহন ভট্টাচার্যকে এই দায়িত্ব দেওয়া বিজেপির তরফ থেকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন দলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে বিজেপি থেকে তৃণমূল শিবিরে যাওয়ার জন্য দলবদলের হিড়িক অব্যাহত। এদিন দল ছেড়েছেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী। দলের অন্দরে কোনওরকম নিয়ম-শৃঙ্খলা নেই বলে কটাক্ষ করেন তিনি। অন্যদিকে সুরজিৎ সাহার মন্তব্যে দলের শৃংখল নষ্ট হয়েছে বলে তাঁকে বহিষ্কার করা হয় দল থেকে। দিলীপ ঘোষ বলেন, দলের নিয়ম না মানলে তাঁকে দলে রাখার প্রয়োজন নেই। একদিকে দিলীপের এই মন্তব্য অন্যদিকে শ্রাবন্তীর কটাক্ষ। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, আদতে শৃঙ্খলা বোধ দলের অন্দরে আছে নাকি নেই।
পুরসভা নির্বাচন আসন্ন হাওড়ায়, একই সঙ্গে হবে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠছে, এই অবস্থায় সুরজিৎ সাহার মত এক নেতাকে বহিষ্কার করলে কতটা প্রভাব পড়বে রাজনীতিতে? যদিও বিজেপির তরফে সাফ জানানো হয়, এর জন্যে বিন্দু মাত্র সমস্যা হবে না দলের। খারাপ নেতা না থাকাই ভালো বলছেন অনেকে, তাহলে প্রশ্ন উঠছে এতদিন কেউ এই বিষয়ে আগে ভাগে সতর্ক হননি কেন? অনেকের মনেই প্রশ্ন, হঠাৎ করে কেউ এতটা খারাপ হয় কি ভাবে? যদিও সেই বিষয়ে কোনও সদুত্তর মেলেনি।
তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি নেতা বহিষ্কার এর জন্য সেই অর্থে কোনও রকম প্রভাব পড়বে না পুর নির্বাচনে।