আজ খবর ডেস্ক- বিশাল ব্যবধানে জয় হল বিজেপির। এদিন আগরতলা পুরসভার গণনা ছিল, পদ্ম শিবির নিরঙ্কুশ জয়লাভ করল সেই নির্বাচনে। দ্বিতীয় স্থানে তৃণমূল উঠলেও বিজেপির সঙ্গে ব্যবধান বিশাল মাত্রায়। ফলাফল ঘোষণার পর গেরুয়া ঝড় উঠল ত্রিপুরা জুড়ে।

একাধিকবার বিজেপি সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল ডবল ইঞ্জিন সরকারই প্রয়োজন রাজ্যের উন্নয়নের জন্য। আর এ দিনের ফলাফলের পরে কার্যত বিজেপির সেই কথাতেই আস্থা রাখল ত্রিপুরাবাসী তা স্পষ্ট। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানান, তিনি উচ্ছ্বসিত, রাজ্যবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই বিপুল জয়ের জন্য।

জানা গিয়েছে, ৩৩৪ এর মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৩২৯ টি আসন, অন্যদিকে বামেদের দখলে ৩ টি এবং তৃণমূল পেয়েছে একটি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এত কম সময়ের মধ্যে সেই রাজ্যে তৃণমূল মানুষের মনে এতটা জায়গা করে নিয়েছে বলে তিনি আপ্লুত; এই বিষয়ে তিনি একটি টুইট করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন কুড়ি শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জেপি নাড্ডা এই জন্য সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

আগরতলা পুরসভা, ৬ নগর পঞ্চায়েত, ৭টি পুর পরিষদ মিলিয়ে মোট ৩৩৪টি আসনে এই নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে ১১২টি আসনে অন্য কোনও দল প্রার্থী না দেওয়ায়, সেই আসনগুলিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে বিজেপি। বাকি ২২২টি আসনে ভোট হয়েছে। রবিবার তার ফল ঘোষণা হয়। বিপুল ভোটে জয়ী হল গেরুয়া শিবির। আমবাসাতে একটি আসন পেয়েছে তৃণমূল।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ অবশ্য আগেই কটাক্ষ করেছিলেন, বিজেপি তরফে হামলা চালানো হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ওপর, তৃণমূলকে ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছে প্রবল, তা সত্ত্বেও ত্রিপুরাবাসীর মনে দাগ কাটতে পেরেছে জোড়া ফুল শিবির। হামলা-মামলা তাণ্ডব চালিয়ে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেসকে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি এদিন।

পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন সবে খেলা শুরু হয়েছে, এরপর আসল খেলা হবে। ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন তিনি।

তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পাখির চোখ করা হয়েছে ত্রিপুরাকে। কখনও বাবুল সুপ্রিয় কখনও আবার সায়নী ঘোষ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পর্যন্ত কোণঠাসা করার জন্য রাজনৈতিক উত্তাপ লেগেই রয়েছে ত্রিপুরা জুড়ে। তার মধ্যেই ফলাফল ঘোষণা হল সেই রাজ্যে। কুড়ি শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়ে ভবিষ্যতে আরও জোর কদমে রাজনৈতিক ময়দানে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হবে তৃণমূল কংগ্রেস তা কার্যত স্পষ্ট।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *