আজ খবর ডেস্ক- ফের একবার বিস্ফোরণ এবং হামলায় কেঁপে উঠল আফগানিস্তান। এদিন দুপুরে হঠাৎ করে একটি সেনা হাসপাতালে গুলি চালায় তালিবানরা বলে অভিযোগ। এই ঘটনার জেরে কমপক্ষে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৫০ জন আহত।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, দুপুরে হাসপাতালের গেটের সামনে দু’বার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং এরপরই হাসপাতালের ভেতরে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। হামলা থামতেই ওই হাসপাতাল থেকে ১৯ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। পাশাপাশি, কমপক্ষে ৫০ জন গুরুতর আহতকে কাবুলের অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, বলে দাবি করেন আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকার আওতায় তালিবানরা নিজেদেরকে যথাযথ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। আমেরিকা সৈন্য উঠিয়ে নেয়ার পরই তারা নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে নেমে পড়েছেন ময়দানে। এদিনের এই ঘটনা, ভয়াবহতা প্রকাশ করেছে ব্যাপক মাত্রায়। ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, হাসপাতালের ভেতরে তিনি কাজ করা কালীন শুনতে পান গুলির শব্দ। পাশাপাশি, শুনতে পেয়েছেন বোমাবাজির শব্দও।

ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে ওই চিকিৎসক বলেন, ঠিক যেন সিনেমা দৃশ্য, ২০২৭ সালের ঘটে যাওয়া এমনই এক ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। যেখানে কিভাবে চিকিৎসক সেজে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হাসপাতালে ঢুকেছিলেন দুষ্কৃতীরা। এদিন ওই একই রকম ছবি উঠে এল সামনে।

তালিবানি গণমাধ্যমের এক ব্যক্তি সূত্রে খবর, হাসপাতালের অদূরে একটি বিস্ফোরণ ঘটে, তার পরেই দ্বিতীয় বিস্ফোরণ হয় হাসপাতালের মূল প্রবেশদ্বারে। এরপরই ভয়াবহতা লক্ষ্য করা যায় যখন দুষ্কৃতীরা হাসপাতালের ভেতরে এলোপাতাড়ি গুলি চালান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কিছু ব্যক্তি জানান, এই ঘটনার পরই হাসপাতালের ভেতরে হামলাকারীদের তরফে ‘তালিবানের জয় হোক’ স্লোগান শুনতে পাওয়া যায়। ওই হাসপাতালের অদূরেই বেশকিছু পশ্চিমদেশের দূতাবাস থাকায়, ওই রাস্তা আটকে দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে। ঘটনার দৃশ্য এবং তার ভয়াবহতা বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসা একের পর এক হামলা এবং বিস্ফোরণের ছবি মনে করিয়ে দিচ্ছে বলে দাবি করেন অনেকে।

যদিও এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে গুলি চালানোর এই ঘটনার দায়ভার স্বীকার করেনি কোনও সংগঠনই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *