আজ খবর ডেস্ক- কেন্দ্রীয় বাহিনীর সীমান্ত থেকে এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় ভোটাভুটি হওয়ার পর রাজ্য সরকারের প্রস্তাব জিতে যায়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক্তিয়ার বাড়ানো হবে না বলে জানা যায় এদিন।

সীমা সুরক্ষা বলের পরিধি বাড়িয়ে নিলে তা রাজ্য সরকারের এলাকায় শাসনভারে সমস্যা হবে, রাজ্যের তরফে বলে বলা হয় বিধানসভায়। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক উদয়ন গুহ একগুচ্ছ ক্ষোভ উগরে দেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, সুরক্ষা এবং তল্লাশির নাম করে অন্যায় ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মহিলাদের যৌনাঙ্গে হাত দেয়। তাঁদের সন্তানদের সামনে শরীরে এভাবে হাত দেওয়ার কারণে মানসিক চাপ পড়ে সন্তানদের উপর। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, ছোট ছোট ছেলে মেয়ের সামনে তাঁদের বাড়ির বড় কাউকে অর্থাৎ বাবাকে বা কোনও আত্মীয় স্বজনকে কান ধরে উঠবস পর্যন্ত করে তারা। এই সব ধরণের ঘটনা দেখলে স্বাভাবিকভাবেই মানসিক সমস্যায় ভুগতে হয় যে কোনও শিশুর। পাশাপাশি, দেশ বিরোধী মনোভাব তৈরি হয়ে উঠতে পারে তাঁদের মনে।

যদিও এই প্রসঙ্গকে কার্যত উড়িয়ে দিয়ে ছিল বিজেপি। তবে শুভেন্দু অধিকারীর ডাকা ডিভিশনে ভোটাভুটি হওয়ার পর সম্পূর্ণ চিত্রটাই বদলে যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নিয়মের বিরুদ্ধে যে প্রস্তাব রেখেছিল রাজ্য সরকার সেই প্রস্তাব অবশেষে রাজ্যের পক্ষেই যায়। বিজেপি-র অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, ব্লকে ব্লকে সীমান্ত এলাকার আশেপাশে গরু পাচার চক্র চালাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দারা। অবিলম্বে সেগুলি বন্ধ করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজন।

বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং তৃণমূলের উদয়ন গুহর মধ্যে চূড়ান্ত বচসা লক্ষ্য করা যায় বিধানসভায়। এই সম্পূর্ণ ঘটনা এতটাই চরমে ওঠে যে স্পিকারের হাত থেকে নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কার্যত চলে যায়। তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ -র তরফ থেকে হুমকিও শোনা যায় মিহির গোস্বামীর বিরুদ্ধে। পা ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। সবশেষে স্পিকারের ভৎসনা শুনে দু’পক্ষই শান্ত হলে ভোটাভুটির পর পাস হয়ে যায় রাজ্যের প্রস্তাব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *