আজ খবর ডেস্ক- বাড়ি বানানোর স্বপ্ন অনেকেই দেখেন। এর পরেই শুরু হয় চিন্তা ঠিক কেমন হবে তার অত্যাধুনিক ডিজাইন, নির্দিষ্ট কটা ঘরে বাতানুকূল যন্ত্র লাগানো হবে? এসব ধরনের চিন্তা ভাবনাই মনে উঠে আসে মানুষের। অনেকে আবার সম্পূর্ণ বাড়িটিকে বাতানুকূল বানানোর চিন্তা ভাবনা করেন, তবে তার জন্য চাই পকেটের জোর। এবার এমন এক অভিনব কায়দায় বাড়িয়ে বাড়ি বানিয়ে ফেললেন এক গবেষক, যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে।

শিবদর্শন মালিক, দিল্লির থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রোহতকের বাসিন্দা এমনই কিছু কীর্তি করে ফেললেন। গরুর গোবর দিয়ে বানিয়ে ফেললেন বৈদিক প্লাস্টার। যা সাধারণ সিমেন্টের তুলনায় খরচ অনেকটাই কমিয়ে ফেলেছে। পাশাপাশি, শীতকালে গরম এবং গরমকালে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে ঘরগুলি। ২০০৫ সাল থেকে বৈদিক প্লাস্টার বানানোর শুরু করেছেন তিনি। দেশি গরুর গোবরে জিপসাম, গুয়ার গাম, মাটি এবং অন্যান্য বেশকিছু উপাদান মিশিয়ে এই বৈদিক প্লাস্টার তৈরি করা হয় বলে দাবি ওই বিজ্ঞানির।

তাঁর মতে, গোবরের মধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন থাকে যা ঘরের বাতাসকে শুদ্ধ করতে সাহায্য করে। ঠিক এই কারণেই আগে বাড়ির দেওয়ালে গোবর লেপা হত। পাশাপাশি, বৈদিক প্লাস্টার এমনই একটি উপাদান থেকে তৈরি যা অগ্নি প্রতিরোধক। এখানেই শেষ নয়, দেখা যাচ্ছে গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে বাইরে যখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছাড়িয়েছে, তখন ঘরের ভেতর প্রায় ২৮ ডিগ্রির কাছাকাছি। অর্থাৎ কম খরচেই সম্পূর্ণ বাড়ি হয়ে উঠতে পারে বাতানুকূল। কলকাতা, মুম্বাই, কর্ণাটক, গুজরাটের মত শহরে বৈদিক প্লাস্টার ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে বাড়ির দেওয়াল।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটির মতন সংস্থায় পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তাঁর অনবদ্য এই আবিষ্কার তাক ফেলে দিয়েছে দেশে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্লাস্টার ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। যা শুধু খরচই কমাবে না বরং শরীরের স্বাস্থ্য দিকেও খেয়াল রাখতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের খরচ এবং পরিবেশকেও বাঁচাতে সাহায্য করবে প্লাস্টার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *