আজ খবর ডেস্ক : কিছুদিনের মধ্যেই কলকাতা এবং হাওড়া পুরভোটের ঘণ্টা বাজবে। আর সেই ভোটের ময়দানে সিপিএম এর পক্ষ থেকে ভোটের ময়দানে নামাতে পারে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ ! অর্থাৎ পুরভোটে তাঁদের প্রার্থী করা হতে পারে।

গতবছর অর্থার ২০২০ সাল থেকে করোনা সংক্রমণ শুরু হতেই সিপিএমের ছাত্র ও যুব সংগঠনের সদস্যরা মিলে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ বাহিনী গড়ে তোলে। করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি থেকে তাঁর পরিবার পরিজন নির্বিশেষে সকলের সাহায্যে এগিয়ে আসতে দেখা যায় তাঁদের। লকডাউনে ক্ষুধার্থ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়া , করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছানো, তাঁদের অক্সিজেন এর ব্যবস্থা করে দেওয়া সহ তাদের পরিবারের যাবতীয় কাজকর্ম করতে দেখা যায় তাঁদের। এমনকি করোনায় যে সমস্ত মানুষেরা ‘হোম আইসোলেশন’-এ ছিলেন , তাদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’-রা। চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনে জয়শূন্য থাকলেও কাজে কোনো আলস্য ছিল না তাঁদের। তাই এ বার পুরভোটে বেশ কিছু ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’-এর সক্রিয় সদস্যকে প্রার্থী করার ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানা গিয়েছে, আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে।

করোনা আবহে কলকাতা জেলা কমিটির নেতৃত্বে ৪০টি এরিয়া কমিটির মধ্যে প্রায় ১০০০-১২০০ ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’ কাজ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে থেকে ২০ থেকে ২৫ জনকে কলকাতা পুরসভা ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হতে পারে , বলে মনে করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, প্রার্থীদের মধ্যে এমনও সদস্য থাকতে পারেন, যাঁরা এখনও পর্যন্ত সিপিএমের সদস্য হয়ে ওঠেন নি। দলে নতুনদের জায়গা দেওয়ার কথা আগেই জানিয়ে ছিলেন বাম নেতৃত্ব। এবার তাই যুব ছাত্র সংগঠনের এমনই সব সদস্যকে পুরভোটের মাধ্যমে কলকাতা জেলা কমিটির নেতৃত্ব হিসেবে তুলে আনতে আগ্রহী সিপিএমের একাংশ। সম্প্রতি এবিষয় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার কথা না ভেবে, সেই মতোই প্রার্থী তালিকা তৈরি করছে বামফ্রন্ট। তাই প্রার্থী নির্বাচনের ব্যাপারে অনেক বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারছেন তাঁরা। তাই ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’-দের কলকাতার পুরভোটে প্রার্থী করে, নগরবাসীর মন যাচাই করে নিতে চাইছে রাজ্য সিপিএমের একাংশ।

পুরভোটের প্রার্থী প্রসঙ্গে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সাধারণত আমরা পুরসভার নির্বাচনে স্থানীয় প্রার্থীর ওপর জোর দিয়ে থাকি। এ বারও তেমনটা হবে বলে আশা করছি। যাঁরা স্থানীয় স্তরের দলের হয়ে ভালো কাজ করছেন, তাঁদের সাধারণত গুরুত্ব দেওয়া হয়।’’গত বিধানসভা নির্বাচনেও এক ঝাঁক নতুন মুখকে সিপিএমের হয়ে ভোটের ময়দানে নামতে দেখা গিয়েছিল। আসন্ন পুরভোটেও সেই পথেই হাঁটতে চলেছে তারা‌। তবে দলীয় সূত্রে খবর, পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে যাঁরা মানুষের কঠিন সময়ে তাঁদের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছেন, কেবল তাঁদেরকেই বেছে নেওয়া হবে প্রার্থী হিসেবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *