আজ খবর ডেস্ক- এখন প্রতি ঘরে ঘরে যেন বাড়ছে ডায়াবেটিক রোগী। প্রতিদিনই তাঁদের সংখ্যা বাড়ছে, দৈনন্দিন জীবনের রুটিন তার সঙ্গে অতিরিক্ত ব্যস্ততার মধ্যে রোগীরা সতর্ক হওয়ার সময় পান না। রক্তে শর্করার পরিমাণের সমস্যার সঙ্গে বিভিন্ন রকম বাধা নিষেধ। চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করতে এবং বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে। রোগীরা সঠিকভাবে জানেন না ঠিক কি উপায় করলে, রক্তে শর্করার পরিমাণ হাতের নাগালে থাকবে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে রোগীরা সঠিক সময়ে খাবার খান না এবং সঠিক সময় ওষুধ খেতে ভুলে যান। খাওয়ার পরই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় আফটার মিল হাইপারগ্লাইসেমিয়া।

চিকিৎসকদের মতে, খুব সহজেই বেশ কিছু নিয়ম মানলে রক্তে শর্করার পরিমাণ হাতের নাগালে রাখা সম্ভব হবে। দেখে নেওয়া যাক ঘরোয়া পদ্ধতিতে কি কি নিয়ম মানলে ডায়াবেটিক রোগীদের কিছুটা হলেও চিন্তা কমতে পারে।

আগে থেকেই একটা পরিকল্পনা করে রাখা প্রয়োজন, কখন খাওয়া-দাওয়া করবেন সেই বিষয়ে। বেশকিছু ধরনের খাবার যেমন মিষ্টি পাউরুটি ইত্যাদি খাওয়া যথাসম্ভব ছাড়তে হবে রোগীদের। আগেভাগে কি খাওয়া-দাওয়া করবেন সেই বিষয়ে তৎপর থাকলে তা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করবে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকলে তা অত্যন্ত মারাত্মক ফল আনতে পারে শরীরের উপর। তাই মাঝে মাঝে অল্প করে কিছু খাবার খাওয়া এই ধরনের রোগীদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। অনেকে, নিয়ম করে দিনে তিনবেলা খান কিন্তু সেই পদ্ধতি অবলম্বন না করে মাঝে মাঝে অল্প করে খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিক রোগী, তাদের মিষ্টি জাতীয় জিনিস খাওয়া বারণ থাকে। তাই সেই দিকে চোখ চলে যায় বারবার। রান্নায় বা চায়ে তারা ঘনঘন বেশি পরিমাণে চিনি দিয়ে খেতে থাকেন যা খুবই খারাপ। তাই ফ্রুক্টোজ জাতীয় খাবার একেবারে ত্যাগ করতে বলছেন চিকিৎসকরা।

জল শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই ঘনঘন জল খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য। লিভার শরীরে অতিরিক্ত শর্করা সরবরাহ করতে সাহায্য করে তাই ভুলবশত যেন শরীরের শর্করার বেড়ে না যায় সেই জন্য ঘনঘন জল খাওয়া স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী। চিকিৎসকদের মতে, শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন রোগীরা, ঘনঘন জল খেলে শরীর হাইড্রেট থাকবে এবং শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

যে ধরনের খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে যেমন ওটমিল, বিভিন্ন রকম সবুজ শাকসবজি, বাদাম সেইগুলি খেতে বলছেন চিকিৎসকরা। ফাইবার শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে এবং সাধারণত ফাইবার ভারী হওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষন পেট ভরিয়ে রাখতেও সাহায্য করে রোগীদের।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *