আজ খবর ডেস্ক- গোমূত্র এবং গোবরের উপকারিতা আগেও বোঝাতে দেখা গিয়েছে চিকিৎসকদের একাংশের। তবে গরুর ধমনী মানুষের শরীরে বসিয়ে নতুন করে মানুষকে প্রাণ দেওয়া যেন একেবারেই বিরল এবং নতুন ঘটনা।
পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যার একেবারে মরণ-বাঁচন অবস্থা আর তার মধ্যেই গরুর ধমনী শরীরে বসিয়ে নতুন করে প্রাণ দিলেন চিকিৎসকরা। অভূতপূর্ব এই ঘটনার সাক্ষী কলকাতার এনআরএস মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল। মুর্শিদাবাদের তায়েবা খাতুন নামের ওই পাঁচ বছরের শিশুর প্রায় শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হত বলে দাবি। সঙ্গে বুকে ব্যথাও অনুভব করত সে। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা ইকোকার্ডিওগ্রাফি করার সিদ্ধান্ত নেন। আর তাতেই পরিষ্কার হয়ে যায় ওই শিশুর হৃদরোগজনিত সমস্যা রয়েছে।
নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখ তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসক পরেশ ব্যানার্জির অধীনে তৈরি করা হয় একটি মেডিকেল টিম। চিকিৎসকদের জন্য এই অস্ত্রপ্রচার যেন একেবারেই এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিশেষ পদ্ধতিতে গরুর ধমনী অস্ত্রপ্রচারের মাধ্যমে বসানো হয় ওই শিশুর শরীরে। অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে ওই শিশু কন্যা। পাশাপাশি এও জানানো হয়, বিরল এই অস্ত্রপ্রচার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হয়েছে ‘শিশু সাথী’ প্রকল্পের আওতায়।
এই অস্ত্রপ্রচারের পদ্ধতির পর অনেকেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন। তায়েবার বাবা-মা স্বাভাবিকভাবেই খুশি চিকিৎসকদের এই সাফল্যের জন্য। তবে আগামী জীবনে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে তায়েবাকে। আপাতত ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে মুর্শিদাবাদের ওই শিশুকন্যা।