আজ খবর ডেস্ক : বাঙালী সঙ্গীত প্রেমীদের মধ্যে নচিকেতাকে পছন্দ করেন না এমন মানুষ বোধ হয় প্রায় নেই ! কিন্তু আজ নচিকেতার এক অন্ধ ভক্ত, বলা ভালো তার কাছের একজনের কথা বলবো।

ফ্যান তো অনেকেই হয় ! কিন্তু দক্ষিণ কলকাতার নরেন্দ্রপুর গ্রীন পার্কের ৪৬ বছর বয়সী দেবব্রত ঘোষাল, প্রিয় শিল্পী নচিকেতার আস্ত ট্যাটু করিয়ে নিলেন হাতে। “আজ খবর”-কে তিনি জানান, ১৯৯৪ সালে প্রথম নচিকেতার ফ্যান ক্লাব আগুনপাখি ফ্রেন্ডস ফোরাম তৈরি হয়। সেই সময় থেকেই তার সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। তবে গত ৬ বছর ধরে কর্মসূত্রে শিলিগুড়িতে থাকতে হলেও, নচিকেতা প্রেম যে কোন অংশে কমেনি তাঁর, তারই প্রমাণ রাখলেন দেবব্রত বাবু।

দেবব্রত বাবু জানান, ” কিশোর বয়স থেকেই নচিকেতার গান ভালো লাগতো। পরবর্তী সময়ে নচিকেতার সান্নিধ্য লাভেরও সুযোগ হয় তাঁর। এখন অনেকেই নিজের প্রিয় শিল্পীর ছবি জামায় এঁকে পড়েন। কিন্তু আমি প্রথম নচিকেতার ছবি জামায় এঁকে পড়া শুরু করি।”

শুধু যে একজন শিল্পী ও তাঁর ভক্তের সম্পর্ক তাই নয়, একজন মানুষ হিসেবেও দেবব্রত বাবুর জীবনের মূল দর্শন “নচিকেতা”। জানান, শুধু তিনি নন, বাকি ভক্তদের বিপদে-আপদে তাঁদের প্রাণের শিল্পী নচিকেতাকে সবসময় পাশে পেয়েছেন তাঁরা। তাই দীর্ঘদিনের পথ চলায় একরকম আত্মীয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তাদের মধ্যে। এমনকি দেবব্রত বাবুর কথায় , তিনি সহ বাকি বেশ কিছু ফ্যানেদের সন্তানের নামও রেখেছেন স্বয়ং নচিকেতা।

ট্যাটুর প্রসঙ্গে তিনি জানান, এই ট্যাটু তৈরীর নেপথ্যে থাকা শিল্পীর নাম সুজিত দাস। তিনি শিলিগুড়ির পূর্ব চয়নপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর কথায়, ” প্রথমে জানতাম ট্যাটু করলে রক্তদান করা যায় না। আমি বছরে তিনবার রক্ত দান করি। তাই ট্যাটু করা নিয়ে দোটানা চলছিল। পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে জানতে পারি, ট্যাটু করার কয়েক মাস পর থেকেই আবার স্বাভাবিক নিয়মে রক্তদান করা যায়। তারপরই এই ট্যাটু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।”

এই ট্যাটু টি তিনি তাঁর প্রিয় শিল্পীকে দেখিয়েছেন কিনা জানতে চাওয়ায়, দেবব্রত বাবু জানান – করোনা আবহে বেশ কিছু সময় যাবত নচিকেতার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা হয়নি তাঁর। তবে ট্যাটু করা মাত্রই নচিকেতার স্ত্রীকে ভিডিও কলে ট্যাটু-টি দেখান তিনি। তিনিও খুশি হয়েছেন বলেই জানিয়েছেন । তবে প্রথম প্রশ্ন ছিল “তোমার কি খুব লেগেছে ? “। তিনি বলেন, ” দাদাকে এখনও সরাসরি দেখিয়ে উঠতে পারিনি। তবে বৌদি দেখে নিশ্চয়ই দাদাকে জানিয়েছেন। দাদাকে দেখালে প্রথমেই এই পাগলামির জন্য বেশ কিছুটা বকাঝকা শুনতে হবে। তবে তারপর গিয়ে ভালো তো বাসবেনই।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *