আজ খবর ডেস্ক- তিন কৃষি বিল সাংবিধানিকভাবে প্রত্যাহারের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় সরকার। গত এক বছর ধরে দিল্লির সীমানায় কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে অবশেষে তিনটি বিল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর তা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের তরফে বিল তিনটি প্রত্যাহারের জন্য যাবতীয় বিবৃতি দেওয়া হয় এদিন দিল্লিতে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংসদে পাস হওয়া কৃষি আইন, প্রত্যাহার করার প্রস্তাবে সরকারী সম্মতি পাওয়া যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বিতর্কিত’ আইনগুলি বাতিল করার ঘোষণার পরই উচ্ছাসে মেতে ওঠেন কৃষকরা। তবে বিতর্ক দানা বাঁধে, সত্যিই তা প্রত্যাহার করা হবে তো? প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষি আইন বাতিল করবে; তিনি ব্যক্তিগতভাবে দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চেয়েছিলেন এবং স্বীকার করেন যে কৃষকদের বোঝানোর প্রচেষ্টায় কিছু ‘ঘাটতি’ ছিল। আদতে তিনটি বিল প্রয়োজনীয় হলেও, কৃষকদের তা বোঝানো যায়নি।
বিল প্রত্যাহারের জন্যে, আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে লোকসভায় পেশ করা হবে। আসন্ন সংসদ অধিবেশনে তিনটি আইন নিয়ে আলোচনা করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে সঠিক তারিখ নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে, যা আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। কৃষি আইনে ছিল, যে কোনও লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ী পারস্পরিক সম্মত দামে কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। নির্দিষ্ট কোনও জায়গা নয়, বরং নিজের সম্মতিতেই নিজের দামে বেচতে পারবেন তারা তাদের উৎপাদন।
চল্লিশটি কৃষক সংগঠনের তরফে লাগাতার চলা বিক্ষোভের পর অবশেষে এই আইন এবার প্রত্যাহারের দিকে যেতে চলেছে। যেহেতু এই বিল পাশ হয়ে গিয়েছিল, তা ফের প্রত্যাহার করতে বেশ কিছু পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। কতটা সময় লাগবে এবং তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হবে নাকি সেই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ পোষণ করছে কৃষকদের একাংশ।