আজ খবর ডেস্ক- দীপাবলির মুখেই খুশির খবর দিল কেন্দ্র, পেট্রল ও ডিজেলের উপর শুল্ক(Excise Duty) কমান হল এদিন। পেট্রলের জন্যে লিটারে ৫ টাকা এবং ডিজেলে লিটার প্রতি ১০ টাকা কমান হল। স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার মধ্যে রাত থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হয়েছে।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বঙ্গে এহেন হারের পর নিজের জায়গায় ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। একুশের নির্বাচন এবং উপ-নির্বাচনে একেবারে কোণঠাসা রাজ্য বিজেপি। কার্যত সেই প্রসঙ্গেই জনমহিনী সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। পেট্রোপণ্যের দাম কমার পরেই এই বিষয়টিকে তুরুপের তাস করেন রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বদের একাংশ । তাঁরা সকলেই ফেসবুক জুড়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে পাল্টা আক্রমণ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূলের দিকে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের করা ফেসবুক পোস্ট

এদিন দাম কমার পরই বিজেপি- র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বুমেরাং এর মতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বঙ্গ শাসক দলকে বলেন, এবার রাজ্যের পালা। ফেসবুক পোস্টে তাঁরা লেখেন, ‘এবার মমতার পালা’।

প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর আগে এবং পরে নাগাড়ে বেড়েছে পেট্রল ও ডিজেলের দাম। এবং পুজোর পরেই ছিল রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন। সেখানেও ৪-০ করেছে ঘাস ফুল শিবির। তাই দীপাবলির আগে আর কোনও ভাবে ত্রুটি ঢাকতে জায়গা রাখেনি গেরুয়া শিবির, বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। পুরভোট আসন্ন, তাই আগে ভাগেই এভাবে প্রচারে নেমে পড়েছে বঙ্গ বিজেপি, দাবি একাংশের। তাঁদের কার্যত হাতিয়ার পেট্রল ও ডিজেলের দামের উপর রাজ্যের বসান কর।

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর টুইট।

এদিন কেন্দ্রের এই পেট্রোপণ্যের শুল্কের উপর ছাড় দেওয়ার পর কার্যত অতিরিক্ত দামের জন্যে মমতা ব্যানার্জির সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। অবিলম্বে রাজ্য সরকারের জ্বালানি শুল্কে ছাড় দেওয়ার কথা দাবি করেছেন তাঁরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে অনেকটাই দেরি করে ফেলেছেন তাঁরা। এখন অনেকটাই জাল গুটিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। অনেকে অবশ্য দাবি করছেন, এতটা দাম উঠিয়ে সর্বসাধারণের জন্য মাত্র কিছু টাকার শুল্ক কমিয়ে কতটা লাভ জনক হবে কেন্দ্রের জন্যে, সেই নিয়ে চিন্তা রয়েই যাচ্ছে।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষের টুইট।

যদিও তৃণমূলের একাংশ দাবি করেন, জ্বালানির জ্বালা কমেনি। রান্নার গ্যাসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। অটোর সিএনজি-র দামও হালফিলে বেড়েছে। সেই বিষয়ের উপর কেন্দ্র এখনও উদাসীন। কেন্দ্রের তরফে জানান হয়, রবি মরশুমে কৃষকদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।

যদিও, দাম কমানর বিষয় সাধারণ মানুষ বলছেন, এত সামান্য দাম কমিয়ে কিছুই লাভ নেই, অন্তত ৭০ কিংবা ৮০ টাকা হলে সুবিধাজনক হতে পারত। অন্যদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কম থাকলেও এতদিন কেন দাম বাড়ল তেলের, সেই প্রশ্নের উত্তর সেভাবে পাওয়া যায় নি। পাশাপাশি একাধিক কারণ দেখিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের আয় কমিয়ে রেখেছে, এই বিষয়টি সর্বদাই হাতিয়ার করেন মমতা ব্যানার্জি। কার্যত এই ক্ষেত্রেও তিনি শুল্ক কমানর প্রশ্নে সেই উত্তর দেবেন নাকি, প্রশ্ন সাধারণের মনে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *