আজ খবর ডেস্ক- দামি ভারতীয় চায়ের কদর রয়েছে সারা বিশ্বে। তবে এর মধ্যেই ব্লেল্ডিং এর নাম করে কম দামি চা মিশিয়ে দেদার বিক্রি করা হচ্ছে বাজারে। ক্রেতারা দামি চায়ের নামে বেশি খরচ করে ভেজাল চা নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে! এই বিষয়ে সক্রিয় হতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দার্জিলিং, কাংড়া, অসম (অর্থোডক্স) এবং নীলগিরির (অর্থোডক্স) মত ভারতীয় চায়ের সঙ্গে নিকৃষ্ট বিদেশি চা মেশানোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল টি বোর্ড।
অভিযোগ উঠেছে, নির্দিষ্ট কিছু ক্রেতা উচ্চমানের ওই চা কিনে নিয়ে ভেজাল মিশিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন। বাণিজ্য মন্ত্রকের দাবি, ‘সমস্ত আমদানিকারকের বিক্রির চালানে আমদানি করা চায়ের উৎস উল্লেখ করা আবশ্যিক। ভারতীয় চা হিসাবে বিক্রির সময়ে তাতে আমদানি করা চা যাতে মেশানো না থাকে, সে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ বোর্ডের তরফে সতর্ক করা হয়েছে, এই নির্দেশ অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বিক্রেতার বিরুদ্ধে।
বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান, পি কে বেজববড়ুয়া, এর আগে নেপাল, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া থেকে সস্তায় আমদানি করা চা দেশীয় চায়ের সাথে মেশানোর বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিলেন। এই পদ্ধতিতে ভেজাল মেশানোর ফলে দেশীয় চায়ের গুণমান এবং দাম অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু ভেজাল মেশানো সেই চা, দার্জিলিং চা বলে বিক্রি হয় অন্যত্র। বোর্ডের সংগৃহীত তথ্যে দেখা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এবার জানুয়ারি-অগাস্ট মাসে চা আমদানি ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। দার্জিলিং এবং অসমের আলাদা আলাদা নির্দিষ্ট একটি স্বাদ গন্ধ রয়েছে। এইভাবে অন্য এলাকার চা পাতা মিশিয়ে দার্জিলিং চায়ের নামে বিক্রি করলে তা শুধুমাত্র দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারেও সুনাম নষ্ট করবে। এই কারণে সরকারের তরফে কড়া পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল এবার।