আজ খবর ডেস্ক- চটজলদি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছতে গেলে উপায় বিমানযাত্রা। তবে তার থেকেও যদি দ্রুতগতির কিছু থাকে তবে কেমন হয়? অনবদ্য এই চিন্তা-ভাবনার নিয়ে এল নীতি আয়োগ। মাত্র দু’ঘন্টাতেই কলকাতা থেকে পৌঁছে যাওয়া যাবে দিল্লি; এ যেন ঠিক গুপীবাঘার ভূতের রাজার জুতো। সৌজন্যে হাইপারলুপ ট্রেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে হাইপারলুপ ট্রেনের পরিকাঠামো তৈরি করার জন্য যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তবে এই পদ্ধতিটি তৈরি করতে এবং চালু করতে খরচ হবে বেশ কিছু অর্থের। একইসঙ্গে, এই পরিষেবা চালু করার জন্য সাহায্য লাগবে বেশকিছু বেসরকারী সংস্থার। তাই তাদেরকেও আহ্বান জানানো হচ্ছে নীতি আয়োগের পক্ষ থেকে। নীতি আয়োগের সদস্য, ভি কে সরস্বত জানান, দ্রুত এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য আলোচনায় বসবেন তাঁরা।

এলন মাস্ক, সহ প্রতিষ্ঠাতা, টেসলা সংস্থা

টেসলা সংস্থার প্রধান, এলন মাস্ক, প্রথম হাইপারলুপ টেকনোলজির প্রস্তাব আনেন। এরইমধ্যে, ভার্জিন হাইপারলুপ যাত্রী নিয়ে ছুটতে শুরু করেছে। ভারতের মহারাষ্ট্রে মুম্বই-পুনে রুটে হাইপারলুপ প্রকল্পের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ঘণ্টায় ৩৮৭ কিমিরও বেশি গতিতে ছুটেছিল ভার্জিন হাইপারলুপ ট্রেন। যাত্রীদের মধ্যে একজন ভারতীয়ও ছিলেন ওই ট্রেনের ট্রায়ালে। যদিও এই ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১০৮০ কিমি, যা সাধারণত বিমানের থেকে বেশ কিছুটা বেশি।

শুধু বাস্তবায়ন নয়, বরং ভবিষ্যতে এর নিরাপত্তা নিয়েও বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করতে হবে বলে জানান সরস্বত। সেইগুলির দিকেও নজর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে আরও জানা যায়, হাইপারলুপ ট্রেন একটি সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটবে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।ফলে এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল গবেষণা এবং বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা। তাই এই দু’টি বিষয়কেই প্রাধান্য দেওয়া হবে আলোচনার মাধ্যমে। ভবিষ্যতে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে কাউকে অপেক্ষা করতে বলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে সুদূর দিল্লিতে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *