আজ খবর ডেস্ক- জোট নাকি একলা চল? পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই নিজের নিজের মত “পথ” খুঁজছে রাজনৈতিক দলগুলো। ইতিমধ্যেই আইএসএফ কলকাতা ও হাওড়ার কিছু ওয়ার্ড বেছে নিয়েছে। এবার কংগ্রেসে ও সেই পথে হাঁটল। অর্থাৎ ২১শের ভোটের আগে যে “সংযুক্ত মোর্চা” তৈরি হয়েছিল, তা কার্যত আর থাকছে না। বামফ্রন্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পুরসভা নির্বাচনে একাই লড়তে চলেছে তারা। অন্যদিকে কংগ্রেসও জানাল, পৃথকভাবে প্রার্থী দেওয়া হবে তাদের তরফে।

কলকাতা এবং হাওড়া জেলার জন্য পুরসভা নির্বাচনে নিজেদের শক্তিতেই লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম। একটি প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হয়েছে তাদের তরফে। অন্যদিকে শনিবার অর্থাৎ ২০ শে নভেম্বর এক সংবাদিক বৈঠক করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান, দুই শহরের পুর নির্বাচনে প্রার্থী দেবেন তাঁরা। মূলত দুটি ওয়ার্ড ঘিরে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তারও নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কোঅর্ডিনেটর সন্তোষ পাঠক এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর প্রকাশ উপাধ্যায় লড়বেন কংগ্রেসের হয়ে। পাশাপাশি অধীর চৌধুরী এও বলেন, জোট হবে নাকি সেই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য করা হবে না। জেলা স্তর থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই বিষয়ে বামকেও জানিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।

এদিকে দিন কয়েক আগেই কোলাঘাট এলাকার নেতা সুরজিৎ মাইতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এদিন একবার ফের বিধান ভবনে এসে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক বৈঠকে জানান হয়, কংগ্রেসের নেতারা কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে সব আসনগুলিতে প্রার্থী দিতে চাইছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে একদিকে জোট করে প্রার্থী নির্বাচন আবার অন্যদিকে আঞ্চলিক ভিত্তিতে লড়াই সাধারণ মানুষ ভালো চোখে দেখেননি। যার জলজ্যান্ত নজির দেখা গিয়েছে সদ্য হয়ে যাওয়া বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর। কিছুটা সেই কারণেই আপাতত ‘একলা চল’- র নীতি নিচ্ছে বাম-কংগ্রেস।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *