ছবি সংগৃহীত

আজ খবর ডেস্ক- প্রায় ছয় মাস পর গড়াল লোকাল ট্রেনের চাকা। তার উপর আজ সোমবার, কাজের দিন। একাধিক বার বলা সত্ত্বেও এতটুকু নিয়মকানুন মানার বালাই নেই যাত্রীদের মধ্যে। কার্যত সেই ছবিই উঠে এল হাওড়া এবং শিয়ালদহ শাখায়। নিয়ম অমান্যের একাধিক ছবি ধরা পড়ল এদিন। কোথাও যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই, কোথাও আবার ভিড়ে ঠাসা ট্রেনে ওঠার জন্য হুড়োহুড়ি, ব্যস্ততা। সব মিলিয়ে উদ্বেগের ছবি উঠে এল ব্যস্ত দিনের শুরুতে।

দীর্ঘ ছয় মাসের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল লোকাল ট্রেন। শুধুমাত্র জরুরী পরিষেবার সঙ্গে জড়িত কর্মীরাই যাতায়াত করতে পারছিলেন। কিন্তু নবান্নের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৩১ শে অক্টোবর থেকে লোকাল ট্রেনে উঠতে পারছেন সাধারণ মানুষ। তবে যাত্রীসংখ্যা হতে হবে প্রতিটি ট্রেনে ৫০ শতাংশ। কিন্তু ব্যস্ত অফিস টাইমে ট্রেন চলার সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গেল একেবারেই উল্টো ছবি।

পূর্ব রেলের তরফে জানান হয়, বর্তমানে যে কটি ট্রেন চলছে, তার উপর ৪৮০ টি অতিরিক্ত ট্রেন চালান হয় হাওড়া শাখায় এবং ৯২০টি শিয়ালদহ শাখায়। কিন্তু তাতে কী? নিয়ম না মানার ছবি সর্বত্র। শিয়ালদহ শাখায় সোনারপুরে ব্যস্ত সময় ট্রেন ধরতে মরিয়া যাত্রীরা। একেই ট্রেনে তিল ধারণের জায়গা নেই, তার মধ্যে জোর জবরদস্তি করে উঠছেন যাত্রীরা। ফলে দূরত্ব বিধিকে কোনও মান্যতা দেওয়া হয়নি এদিন।

ছবি সংগৃহীত

অন্যদিকে, বিভিন্ন স্টেশনে দেখা গেল লোকাল ট্রেনে অবাধে ট্রেনের যাত্রীরা মাস্ক খুলেই বসে আছেন। কারোর মাস্ক রয়েছে বুক পকেটে। কারো আবার হাতে। স্টেশনের মধ্যেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন মাস্কবিহীন অসংখ্য মানুষ। দুরত্ম বিধির নাম গন্ধও নেই এক একটি স্টেশনে।

ছবি সংগৃহীত

ভয় ছিল ছুটির দিনে এই অবস্থা হলে, সপ্তাহের শুরুতে কী হবে? তবে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল এদিন। চিন্তা থাকছে সপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোকে নিয়েও। কী চেহারা নেবে লোকাল ট্রেন সেটা ভেবেই আতঙ্ক লাগছে বলে জানান বেশ কিছু যাত্রী। যদিও আজকে রাজ্যের বিভিন্ন লোকালে ছবি বেশ ভয়ঙ্কর এবং উদ্বেগজনক। অতিরিক্ত ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য প্রতিটি ট্রেনই ১২ কোচের হোক, সেই দাবিই তুলেছেন যাত্রীরা। তবে নিজে সতর্ক না হলে প্রশাসনের তরফে রাজ্যের প্রান্তিক স্টেশনগুলোতে কতটা তৎপরতা দেখা যাবে সেই দুশ্চিন্তায় রেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই বড় বড় স্টেশনগুলো যেমন হাওড়া, শিয়ালদহ -র মত জায়গায়, পুলিশের তরফ থেকে নজরদারি চালান হচ্ছে। যাত্রীরা আদপে কোভিড প্রটোকল মেনে চলছেন নাকি সেই বিষয়ে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *