আজ খবর ডেস্ক : পুরভোটকে সামনে রেখে গতকালই প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। আর তাতেই দেখা গেল বড় চমক ! নিজের ওয়ার্ড থেকে নিজেরই ভ্রাতৃবধূকে প্রার্থী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গতকাল দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে দলের হয়ে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন, দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শীর্ষ নেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায়। এই তালিকা প্রকাশিত হতেই দেখা যায়, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই কাজরী বন্দোপাধ্যায় হলেন তৃণমূল নেত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী।
কলকাতা পুরসভার অসংরক্ষিত ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডটির অধীনেই রয়েছে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট। আর সেই ওয়ার্ড থেকেই এবার ঘাসফুল চিহ্নে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাতৃবধূ কাজরী। জানিয়ে রাখি, এমনিতেও মমতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কাজরী। তবে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তিনি এই প্রথম পদার্পণ করছেন। কাজরীর স্বামী, কার্তিক একজন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী। পাশাপাশি তৃণমূলের জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন কার্তিক।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ভবানীপুরে শেষ হওয়া উপনির্বাচনে মমতা ওই ওয়ার্ডটি দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিলেন ভাই কার্তিককে। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে এই ওয়ার্ডে ৪৯৬ ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। শোনা যায়, ২০২১-এর উপনির্বাচনের আগে কার্তিক দিদিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, ওই ওয়ার্ড থেকে কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে ‘লিড’ দেবেন তিনি। আর ফল প্রকাশের পর সত্যিই দেখা যায়, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৫ হাজারেরও বেশি ভোটের ‘লিড’ পেয়েছেন মমতা।
তবে কি ভাইয়ের কথা রাখার প্রতিদান হিসেবেই তাঁর স্ত্রীকে ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী করলেন মমতা? এই বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে না জানা গেলেও, উপনির্বাচনে ভাই কার্তিকের কাজের প্রভাব কিছুটা হলেও স্ত্রীয়ের মনোনয়নকে প্রভাবিত করেছে, এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, কাজরী ও কার্তিকের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। নাম আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পেশায় চিকিৎসক।