আজ খবর ডেস্ক- এসএসকেএম হাসপাতাল এবং হাসপাতাল চত্বরে দীর্ঘদিন ধরে নার্সদের বিক্ষোভ চলছিলই। তবে অবশেষে সেই অবস্থান-বিক্ষোভ থামল এদিন। পুর নির্বাচন আসন্ন, নির্বাচন কমিশনের একাধিক নিয়ম নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গিয়েছে কলকাতা শহরে। এই মুহূর্তে পথে বসে আন্দোলন বিক্ষোভ করা সম্ভব নয়। তাই সাময়িক ভাবে বিক্ষোভরত নার্সরা ময়দান ছাড়ালেন।

নার্স সংগঠনের সভাপতি পার্বতী পাল @আজ খবর কে জানান, আগামী একমাস সময় দেওয়া হয়েছে সরকারকে। এরমধ্যে বেতন কাঠামো নিয়ে যদি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হয় সরকারের তরফ থেকে তবে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে নার্স সংগঠন। প্রসঙ্গত, গত ২৬ শে জুলাই এই আন্দোলন শুরু হয় নার্স সংগঠনের তরফ থেকে। এরপর রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আশ্বাস দেওয়ায় অগাস্ট মাসে এই বিক্ষোভ তুলে নেয় নার্স সংগঠন। তবে বেশ কিছুদিন হয়ে গেলেও কোনও দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়ায় ফের একপ্রস্থ আন্দোলনের পথে হাঁটেন তাঁরা।

দীর্ঘ তিন মাস তাঁদের দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের অধিকর্তা অজয় কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করেন নার্স সংগঠন। তবে সেই ক্ষেত্রে আধিকারিকদের তরফ থেকে উদাসীনতার ছবি স্পষ্ট হয় নার্স সংগঠনের প্রতিনিধিদের। একদিকে বেতন সমস্যা নিয়ে যখন প্রতিবাদে সরব নাস সংগঠন তখন অন্যদিকে বদলির ব্যাপারেও ডেপুটেশন জমা দেওয়ার পরও সেই ভাবে কোনও সুরাহা খুঁজে পাননি সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ৩৪ জন নার্স এর বদলির ব্যাপারে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নার্সরা। যাদের মধ্যে ১১ জন নার্স এসএসকেএম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তাঁদেরকেও বদলি করে দেওয়া হয় অন্যত্র। সংগঠনের তরফে দাবি, ওই নার্সদের বাড়ির কাছাকাছি পছন্দসই এলাকাতে বদলি করতে হবে অবিলম্বে। এক জায়গা থেকে অন্যত্র এতটা দূরে বদলি করে দেওয়া নজিরবিহীন বলে মনে করছে সংগঠন।

বদলি নীতির ব্যাপারে সেই ভাবে সক্রিয়তা না দেখা গেলেও বেতন কাঠামো সংশোধন এবং বেতনের গ্রেড লেভেল যথাযথ নিশ্চিত করার দাবিতে আগামী দিনেও নার্স সংগঠনের এই বিক্ষোভ বজায় থাকবে বলে জানা যায়। একইভাবে ভবিষ্যতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই ধরনের উদাসীনতা বজায় থাকলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে সংগঠন বলে জানানো হয় এদিন। আপাতত প্রতিবাদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে চলেছে ওই সংগঠন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *