আজ খবর ডেস্ক- গ্যাংটক যেতে হলে আগে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে ধরতে হত গাড়ি। সেটাই ছিল চিরাচরিত ছবি। তবে এরপর ট্রেন থেকে নেমে আর কষ্ট করে গাড়িতে উঠতে হবে না পর্যটকদের। ট্রেনে চেপে চলে যেতে পারবেন সরাসরি গ্যাংটক হয়ে নাথুলা।গ্যাংটক থেকে নাথুলা পর্যন্ত রেল লাইন পাতার কাজ শুরুহচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় রেলের উত্তর-পূর্ব সীমান্তের জেনারেল ম্যানেজার অনশুল গুপ্তা।
রেলমন্ত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেল লাইনের শিলান্যাস করেছিলেন। কিন্তু এই কাজ আটকে যায় জমি জটের কারণে। অবশেষে জমিজটের সমস্যা সমাধান হওয়ার পরেই দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হয়েছে রেলের তরফে। মোট ৪৫ কিলোমিটার রেল পথের মধ্যে ৪ কিলোমিটার সিকিমে এবং বাকি দার্জিলিং জেলায়। পাহাড় কেটে রেলপথ তৈরি হচ্ছে দ্রুত গতিতে। এরপর সহজেই পর্যটকরা পৌঁছে যেতে পারবেন গ্যাংটক।
রেল সূত্রে খবর, মূল জাতীয় সড়কের থেকে কিছুটা দূর দিয়ে যাবে এই রেলপথ। যার মধ্যে থাকবে অসংখ্য টানেল। এদের মধ্যে একটি টানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ কিলোমিটার লম্বা। যা নিঃসন্দেহে পর্যটকদের মুগ্ধ করবে। রেল আধিকারিকদের তরফে জোরকদমে তত্ত্বাবধান চলছে ওই কাজের। অত্যাধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের কারণে আগামী দু’বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে এই কাজ বলে দাবি রেলের। উন্নতি হবে ব্যবসা-বাণিজ্যের। সম্প্রতি সিকিম এবং পশ্চিমবঙ্গের সংযোগকারী রাস্তায় অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জল জমে গিয়েছিল। থমকে যায় জনজীবন। তার জেরে কাজ ব্যাহত হয়েছিল। তবে সব কেটে যাওয়ার পরে ফের একবার কাজ শুরু হয়েছে তড়িঘড়ি।
সেবকের পর রিয়াং, তিস্তা, মল্লি স্টেশন হয়ে ট্রেন পৌঁছবে রংপো। এরপর গ্যাংটক হয়ে নাথুলা সীমান্ত পৌঁছবে ট্রেন। তবে চলতি কাজ শেষ হলেই ওই বাকি কাজে হাত দেবে রেল। ভবিষ্যতে এই রুটে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন ক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখবে বলে আশা করছে রেল।