আজ খবর ডেস্ক- পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামের ছাত্র সঞ্জয় লোহার। আশৈশব দারিদ্র। কতটুকুইবা জীবনের সুযোগ সুবিধা পেয়েছে প্রান্তিক এলাকার ছেলেটা? তবে কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠা যে সাফল্য এনে দেয় এবং সমাজের কোনও ভেদাভেদ দেখে না তা প্রমাণ করে দিল সঞ্জয়ের পরিশ্রম।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছেআগেই ছিল। এবার তার জন্য দরজা খুলে দিল স্বয়ং আইআইটি। সমাজে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর অন্তর্গত একটি পরিবার। সবথেকে দুঃখের, এই সাফল্য কোন পর্যায়ের তা আন্দাজ করতে পারছে না তাঁর পরিবার। গবাদি পশু পালন করে দিনযাপন হয় সঞ্জয়ের পরিবারের।
পুরুলিয়ার ঝালদা চান্দেই গ্রামীণ স্কুল থেকে পাশ করেছে সঞ্জয়। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ঝুলিতে রয়েছে অনেক নম্বর। ধীরে ধীরে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল সে। বাস্তবের সম্মুখীন হয়ে নিজেই বিশ্বাস করতে পারছে না সাফল্য কোন পর্যায়ের! ৭৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিকে এবং ৮১ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক। কৃতি ছাত্র হিসেবে বরাবরই নাম ছিল তাঁর।এরপরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুযোগ পায় সঞ্জয়। তারপর শুরু হয় আইআইটি জন্য প্রস্তুতি। এরপর স্বীকৃতি আসার পরে যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছে সঞ্জয়।
সমস্যাটা শুরু হয়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ১৫০০০ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। তবে তাতেও আটকে থাকেনি সঞ্জযয়ের ভাগ্য। তুষার আওয়াস্থি নামের এক সমাজকর্মী এগিয়ে আসেন তাঁর সাহায্যের জন্য। সমাজ মাধ্যমে তাঁর এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই সাহায্য আসতে শুরু করে নানা দিক থেকে।
সঞ্জয় জানান, সামাজিক অবস্থান যেমনই হোক না কেন, এমন সুযোগ পেলে পিছিয়ে আসা উচিত নয়। সরকারের তরফ থেকে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। প্রকল্প থাকে। এগুলোর সদ্ব্যবহার করতে অনুরোধ করে সঞ্জয়। আপাতত আইআইটি দিল্লি থেকে ফোনের আশায় দিন কাটাচ্ছে সঞ্জয়। সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।