আজ খবর ডেস্ক- পাখির চোখ ত্রিপুরা। একাধিক কর্মীসভা এবং পথসভার আয়োজন করা হচ্ছে সেই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে। সম্প্রতি সেই রাজ্যে পৌঁছেছিলেন তৃণমূলের সায়নী ঘোষ এবং বাবুল সুপ্রিয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় ডেকে পাঠানো হয় সায়নী ঘোষকে। এরপরই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। তৃণমূলের অভিযোগ, আগরতলা পূর্ব মহিলা থানা ঘিরে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে বিজেপি বাহিনী।
প্রসঙ্গত, রাত পোহালেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা, ত্রিপুরায় ঠিক তার আগেই এমন এক পদক্ষেপ ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছে ত্রিপুরা রাজ্য রাজনীতি। ৩০৭, ১৫৩ এবং ১২০ বি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে টুইট করে বিপ্লব দেবকে সরাসরি আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজ মাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘বিপ্লব দেব এতই নির্লজ্জ যে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও পাত্তা দিচ্ছেন না। তৃণমূল সমর্থক এবং মহিলা প্রার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বদলে বিপ্লব বার বার তাঁদের উপর হামলা চালাতে গুন্ডা পাঠাচ্ছেন। বিজেপির শাসনে গণতন্ত্রে প্রহসনে পরিণত হয়েছে।’
কুণাল ঘোষে বলেন, “ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। থানায় ডেকে এনে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ছিল।’’ আগেও বাবুলের সভায় তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে। ফিরহাদের সভায় আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। সায়নীর এই গ্রেপ্তারের ঘটনা একেবারে ধৈর্য ভেঙে দিয়েছে তৃণমূলের বলে মনে করছেন দলের একাংশ।
তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকানোর জন্য সব রকম ভাবে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেই মনে করছেন তৃণমূল নেতারা। এই ঘটনার প্রতিবাদে কুণাল ঘোষ টুইটে জানিয়েছেন, “অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করল সায়নী ঘোষকে। ধিক্কার ত্রিপুরা সরকার। থানায় হামলাকারীরা গ্রেফতার হল না। গ্রেফতার হল সায়নী।”
তৃণমূল কর্মীদের দাবি, সকাল থেকেই তৈরি হয়েছিল বিজেপি বাহিনী। হাতে লাঠি, মাথায় হেলমেট নিয়ে তারা অপেক্ষা করছিল থানার বাইরে। সায়নী ঘোষ থানায় আসতেই তাঁর উপর এই হামলা চালানো হয় বিজেপির তরফে। এই ঘটনায় রক্তাক্ত হয় বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী। এমনই দাবি করেন সাংসদ সুস্মিতা দেব। যতক্ষণ না পর্যন্ত সায়নীকে ছাড়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সেখানেই বসে থাকবেন সুস্মিতা দেব, কুনাল ঘোষ এবং অর্পিতা ঘোষ বলে জানান তাঁরা। তৃণমূল নেতা সুভাষ ভৌমিকের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুস্মিতা।
‘হিট অ্যান্ড রান’ এর অভিযোগে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা হয়েছিল সায়নীকে। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবেই তাঁর উপর হামলা চালানোর জন্য ডাকা হয়েছিল সায়নীকে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সভা বানচাল করার জন্যেই এই প্রচেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে। আপাতত এই বিষয় নিয়ে উত্তাল ত্রিপুরা।