আজ খবর ডেস্ক- বাহিনীর এক্তিয়ার বাড়ানোর বিপক্ষে প্রস্তাব আনা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। এদিন সেই প্রস্তাবে ভোটাভুটির পর পাশ হয়ে গেল রাজ্য সরকারের তরফে আনা প্রস্তাব। বর্তমানে বর্ডার সুরক্ষা বাহিনীর এক্তিয়ারে যে এলাকা রয়েছে তা সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তা বাড়িয়ে করার চেষ্টা চলছিল ৫০ কিলোমিটার। এই প্রস্তাবের বিপক্ষে গিয়ে পাল্টা প্রস্তাব আনা হয় রাজ্যের তরফে। বলা হয় এমন ভাবে পরিধি বাড়ানো সম্ভব নয়। শুভেন্দু অধিকারীর ডাকা ডিভিশনে ভোটাভোটি হয় বিধানসভায়। রাজ্য সরকারের তরফে পড়ে ১১২ টি ভোট এবং বিরোধীদের পক্ষে পড়ে ৬৩ টি ভোট।

এই আলোচনায় যোগ দেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায় ও রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর এবং দিনহাটা থেকে সদ্য উপ-নির্বাচনে জয়ী বিধায়ক উদয়ন গুহ। প্রস্তাবের বিপক্ষে বলেন বিরোধী দলনেতা, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। এই আলোচনা চলাকালীন বচসা শুরু হয়ে যায় শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে। এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকলো বিধানসভা এদিন। শাসক দলের তরফে প্রস্তাব নিয়ে বলার সময় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন বিরোধী দলের বিধায়করা। পাল্টা চিৎকার করতে থাকেন শাসকদলের বিধায়করাও।

শাসক-বিরোধী দুই বিধায়কদের মধ্যে শুরু হয় চরম উত্তেজনা। কোচবিহারের নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সঙ্গে সেই জেলারই দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর মধ্যে বাধল কথা কাটাকাটি। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহ, মিহির ঘোস্বামীর উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলায় তাঁর দলের একটি পা ভেঙে গিয়েছে, আরেকটি পা- ও ভেঙে দেবেন তিনি। এই মন্তব্য করার পর বিধানসভা অধিবেশনের গন্ডগোল চরম পর্যায়ে ওঠে।

তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, সীমা সুরক্ষা বাহিনীর তরফে নজর রাখার সময় এবং তল্লাশি চালানোর নাম করে মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তাঁরা এবং শরীরের গোপন জায়গায় হাত দেওয়ার ফলে অসন্তুষ্ট হন মহিলারা। কিন্তু কিছু বলতে পারেন না। এ ধরনের ঘটনা আটকানো দরকার। রাজ্য সরকারের তরফে এও বলা হয় নানাভাবে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। রাজ্য সরকারের আওতায় থাকা এলাকার শাসনকর্তা হয়ে ওঠার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার, কিন্তু বাংলার সরকার কিছুতেই এই অন্যায় মেনে নেবে না এবং বিজেপিকে সফল হতে দেবে না। প্রস্তাবের ফলাফল পরবর্তী নির্ণয়ের জন্যে পাঠানো হবে দিল্লিতে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *